সৌদি আরবে অর্গানিক খামার বেড়েছে ২৮ শতাংশ
ওয়ালিউল্লাহ সিরাজ : সৌদি আরবের অর্গানিক খামারের সংখ্যা গত এক বছরে ২৪৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩১২টি। ২০১৯ সালের তুলনায় এই বৃদ্ধির হার ২৭.৭ শতাংশ। যেখানে ২০১৮ সালে মোট অর্গানিক কৃষি অঞ্চল ছিল ২৪৫১৭.৮৯ হেক্টর। ২০২০ সালে তার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ২৬৬৩২.৪৮ হেক্টর। কৃষি অঞ্চল বৃদ্ধির হার ৮.৮ শতাংশ। গালফ নিউজ
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন ২০১৯ সালে জৈব উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৬১৪৪১.৪৫ টন। ২০২০ সালে উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৮৫৫৮.৮১ টন। শতাংশ হিসেবে উৎপাদনের হার প্রায় ৬০%। পরিবেশ, পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের জৈব উৎপাদন বিভাগের পরিচালক আয়মান আল গামদি বলেন, জৈব চাষ হলো উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়ই কৃষি উৎপাদনের একটি পদ্ধতি।
সৌদি আরব আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে সমস্ত জৈব পদ্ধতি উৎপাদিত পণ্যের গায়ে কিউআর কোর্ড ব্যবহারে নিয়ম চালু করেছে। গ্রাহকরা তাদের স্মার্টফোন দিয়ে স্ক্যান করতে পারেন। নিজেদের টেবিলের খাবার ট্র্যাক করে দেখতে পারবেন পণ্যটি কোন খামারে উৎপাদন হয়েছে। যে কেউ পণ্যের মূল উৎপাদনকারীকে খুঁজে পেতে পারবে। এছাড়াও প্রতিটি পণ্যের সকল প্রকার ডেটা সংরক্ষণ করা হবে। কৃষি মন্ত্রণায় জানায়, কেউ জৈব কৃষি আইন লঙ্ঘন করলে তার লাইসেন্স এক বছরের বেশি সময়ের জন্য স্থগিত করা হতে পারে। এছাড়াও হতে পারে অর্থ দন্ড। সৌদি আরবে কৃষিখামার একটি লাভজনক ব্যবসা, তবে এর পেছনে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। লাভ যেমন ঝুঁকিও রয়েছে। মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সৌদি আরবে ৪৮/৫০ ডিগ্রির প্রচ- তাপমাত্রা থাকে। এসময় ফসল গরমে মারা যায়, যাতে ক্ষতির পরিমাণটা অনেক বেশি। সম্পাদনা : রাশিদ