বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে মিল খুঁজে পাওয়া না প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো উইকনেস নেই : অর্থমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : একাধিক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সমালোচনা করলেও আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো দুর্বলতা দেখছেন না অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
‘২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো উইকনেস নেই’ এমন দাবি করে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি কোনো পার্টিকুলার সিগমেন্ট উল্লেখ করতে চাই না। বাজেটটি যখন বাস্তবায়ন শুরু হবে, তখন আমরা দেখবো কারা বেনিফিশিয়ারি। উপকারভোগী কারা আমরা সেটি জানতে পারব। যাদেরকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে তাদেরকে কভার করার জন্যই আমরা এবারের বাজেট সাজিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, নিম্ন আয়ের মানুষদের যদি আমরা আইডেন্টিফাই করতে পারি এবং অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে পারি তাহলে আগামীতে আমাদের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হবে। এই নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি এবং সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
‘করোনা পরিস্থিতিতে আড়াই কোটির মতো নতুন দরিদ্র হয়েছে’Ñ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার এ ধরনের গবেষণা প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন দরিদ্রের এই হিসাব আমি স্বীকার করি না। যাদের কাছে তালিকা আছে ২ কোটি বা ১ কোটি বা ১০ জন, এই তথ্য তারা কোথায় পেয়েছে, আগে তা জানা দরকার। অবশ্য করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউন দিলে শেয়ারবাজার বেশ তেজি হয়ে উঠে।
আতঙ্ক কাটিয়ে লকডাউনের মধ্যে হু হু করে বাড়ে লেনদেন, সূচক ও বাজার মূলধন। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মুখেও হাসি ফুটেছে পুরনো ক্ষতো ভুলে যাচ্ছে।
এবিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মো. শাকিল রিজভী বলেন, করোনার মধ্যে শেয়ারবাজার চাঙ্গা থাকা এটা ইতিবাচক। তবে বিশ্বের অনেক দেশেই করোনার মধ্যে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থায় রয়েছে। এখন ব্যাংকের সুদের হার কম এবং বিএসইসির নতুন নেতৃত্ব বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব কারণে আমাদের শেয়ারবাজার করোনার মধ্যে ভালো করছে।
এবিষয়ে বিনিয়োগকারী এহতেশামুজ্জামান বলেন, ২০১০ সালের পর গত এক বছর শেয়ারবাজার সব থেকে ভালো সময় পার করেছে। এর অন্যতম একটি কারণ সুদের হার কম থাকা। ব্যাংকে টাকা রাখলে এখন খুব একটা মুনাফা পাওয়া যায় না। বরং শেয়ারবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে ব্যাংকের থেকে অনেক বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। আবার ঘরে বসেই মোবাইল, ই-মেইলে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। এসবের ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে দেখা যাচ্ছে।
রেকর্ড এই লেনদেনের দিনে ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। এতে প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫০ পয়েন্টে বেড়ে যায়। তবে শেষদিকে এসে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ছয় হাজার ৫৫ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ছয় পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক পাঁচ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।