মাত্র ১০০ কোটি টিকার ডোজের প্রতিশ্রুতি জি-৭ নেতাদের তীব্র সমালোচনা জাতিসংঘ ও দাতব্য-মানবাধিকার সংস্থার
লিহান লিমা : ২ দরিদ্র দেশগুলোকে মাত্র ১শ কোটি টিকার ডোজের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় জি-৭ নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা, মানবাধিকার সংস্থা ও প্রচার সংগঠনের কর্মকর্তারা। রয়টার্স
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র ৫০ কোটি ও যুক্তরাজ্য ১০ কোটি টিকা পাঠাতে সম্মত হয়েছে। কানাডা দেবে ১০ কোটি ডোজ টিকা। জি-৭ভুক্ত বাকি দেশগুলোও তাদের সাধ্যমতো টিকা পাঠানোর কথা বলেছে।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমাদের এর থেকে অনেক বেশি প্রয়োজন। আমরাদের বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। যৌক্তিক, জরুরি ও যুদ্ধকালীন অর্থনৈতিক প্রেক্ষপট চিন্তা করে যৌক্তিকভাবে, জরুরিভিত্তিতে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু আমরা এটি থেকে অনেক দূরে আছি।’ গুতেরেস আরও বলেন, যদি উন্নয়নশীল দেশগুলোর জনগণকে দ্রুত টিকাদান করা না যায় তবে ভাইরাসের নতুন নতুন সংক্রমণ পুনরায় বিস্তার লাভ করবে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘একশ কোটি ডোজ টিকার প্রতিশ্রুতি মহাসাগরে একফোঁটা পানি দেয়ার মতো। এ দিয়ে বিশ্বতো দূর, ভারতেরই পুরো জনসংখ্যাকেই টিকার আওতায় আনা যাবে না।’ অক্সফামের স্বাস্থ্য নীতিমালার পরিচালক আন্না মেরিয়েট বলেন,‘বিশ্বজুড়ে টিকা সংকট সমাধানে প্রয়োজন ১ হাজার ১শ কোটি ডোজ। সেখানে জি-৭ দিচ্ছে মাত্র ১০০ কোটি।’ সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন বলেছেন, ‘এই প্রতিশ্রুতি অনেকটা সংকটের প্রকৃত সমাধান করার চাইতে ভিক্ষার ঝুলি এক হাত থেকে অন্য হাতে পার করার মতো।’
কার্যকরী ও দ্রুততার ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে দরিদ্র দেশগুলোর মানুষজনকে টিকার আওতায় আনতে ২০৭৮ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছে ‘দ্য পিপলস ভ্যাকসিন এলায়েন্স’।
বিশ্বব্যাপী করোনায় এ পর্যন্ত ৩৮ লাখের বেশি প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ কোটি ৬০ লাখের বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ, ইসরায়েল ও বাহরাইনের মতো উন্নত দেশগুলো নাগরিকদের প্রায় ৫০ ভাগের বেশিকে টিকার আওতায় আনলেও অনেক দরিদ্র দেশ এক ডোজ টিকাও দিতে পারেনি। সম্পাদনা : রেজা