যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির দাম রেকর্ড বৃদ্ধি
রাশিদ রিয়াজ : দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির দাম গত বছর একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ২৩ শতাংশ। ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন অব রিয়ালেটরস এ তথ্য দিয়েছে। একটি সিঙ্গেল ফ্যামিলি থাকতে পারে এমন বাড়ির দাম গড়ে বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯শ ডলার। এক বছর তুলনায় এধরনের বাড়ির দাম বেয়েছে ৬৬ হাজার ৮শ ডলার। অর্থাৎ ২২.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাড়ি ক্রেতারা একটি বাড়ি কিনতে রীতিমত গলদঘর্ম হচ্ছেন। বাড়ি বিক্রির হারও কমে গেছে। এ নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত টানা বাড়ি বিক্রির হার কমলো। আরটি
তবে গত জুনে মোটের ওপর বাড়ি বিক্রির হার বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৪ শতাংশ। যা অর্থে ৫.৮৬ মিলিয়ন ডলার। রিয়ালেটরস গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ লরেন্স ইয়ান বলেন বাড়ির দাম বৃদ্ধি ও আবাসন সম্পদ আহরণ গত এক বছরে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে বাড়ি বিক্রি হ্রাস পেয়েছে। যদিও বাড়ির চাহিদা বেড়েছে। এধরনের বাড়ির দাম বৃদ্ধি ২০২২ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করছেন লরেন্স ইয়ান। তবে আবাসন শিল্পে আরো বাড়ি নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি।
ন্যাশনাল এ্যাসোসিয়েশন অব রিয়ালেটরস’এর তথ্য অনুসারে ১৮৩টি মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯৪ শতাংশ বাড়ির দাম বেড়েছে ডাবল ডিজিটে। এধরনের বৃদ্ধি পায় দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে। প্রথম ত্রৈমাসিকে এ হার ছিল ৮৯ শতাংশ। ১২টি শহুরে এলাকায় বাড়ি বিক্রি বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশ। তবে ইলিনয়েসের স্প্রিংফিল্ডে বাড়ির দাম কমেছে ৭ শতাংশ। অথচ ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে এখন সুদের হার সর্বনি¤েœ অবস্থান করছে। মাসে ১০ শতাংশ আমানত সহ বন্ধকী ঋণ পরিশোধ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা গত বছরের একই সময়ে ২১ শতাংশ ছিল। একক-পরিবারে মাসিক বন্ধকীর পরিমান ১,২১৫ ডলার বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের বাড়ি ক্রয়ে সামর্থ্যের ন্যূনতম আয় ৫৮,৩১৪ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
তবে গত জুনে বাড়ি বিক্রি পরিমান ৩১ শতাংশে পৌঁছে যা গত বছর ৩৫ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। কোভিড মহামারির কারণেই বাড়ি ক্রয়ে ক্রেতাদের আগ্রহ ব্যাপক হারে কমে গেছে। বিশেষ করে সম্প্রতি ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের নতুন বিস্তারে মার্কিন ক্রেতাদের মধ্যে ক্রয়ের ইচ্ছা এতটাই হ্রাস পেয়েছে যা গত বছর এপ্রিলের সময়ের পরিস্থিতির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। মিচিগান ইউনিভার্সিটি বলছে কনজুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স জুলাই থেকে আগস্টে হ্রাস পেয়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশ। যা ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর সর্বনি¤œ।