ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রপ্তানি বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্য দরকার
ভূঁইয়া আশিক রহমান : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, কোভিডকালের ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। রপ্তানি, বাজার কিংবা পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ করা প্রয়োজন। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। অবকাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন জ¦ালানি সরবরাহ করতে হবে। ‘ওয়ান স্টপ’ সার্ভিস ও সর্বত্র সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে অর্থনৈতিক গতি আবারও ফিরে আসবে। অর্থনৈতিক ক্ষতিও তখন অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা যাবে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপে তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতির এক নম্বর শক্তি হলো বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স। করোনাকালে রেমিটেন্সের গ্রোথ খুব ভালো ছিলো। যদিও সাম্প্রতিককালে কিছুটা কমে এসেছে। তবুও সার্বিকভাবে রেমিটেন্স প্রবাহ ভালো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতির বড় দুর্বলতা হচ্ছে রপ্তানিতে আমাদের পারফরমেন্স স্থিতিশীল নয়। কারণ বিশে^ পণ্যের চাহিদা কম। এর ওপর তো আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কোভিডের কারণে পরিস্থিতি বদলে গেছে। তবে আমাদের কৃষি খাতের অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। উৎপাদন কমেনি। যদিও খাদ্য আমদানি করার প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় দেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে না। এ নিয়ে অনেক কাজ করার আছে।
ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, চাহিদা বাড়ার কারণে খাদ্যের দাম কমছে না। বিশ^বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বিশ^বাজারের সঙ্গে আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারেরও একটা সম্পর্ক আছে। এই কারণেও আমাদের বাজারে খাদ্যের দাম বাড়তির দিকে। তবে সার্বিকভাবে বললে, আমাদের অর্থনীতি খুব একটা নাজুক নয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, দেশের শেয়ারবাজারের সঙ্গে অর্থনীতির সরাসরি সম্পর্ক খুব একটা দেখা যায় না। কারণ বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এখনো কিছুটা হুজুগে চলে।
দেশে জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। আপাতত বিবেচনায় সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকার। তবে আবারও যদি করোনা সংক্রমণ বাড়ে, তাহলে বর্তমানে যে কিছুটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিদ্যমান আছে তা বজায় রাখা মুশকিল হবে।