কুমিল্লায় ৫৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে তিন আন্ডারপাস ও ইউলুপ
শাহজাদা এমরান : ৫৬৮ কোটি ব্যায়ে শিগগিরই কুমিল্লা নগরীর ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ অংশের পদুয়া বাজার বিশ^রোডে নির্মিত হচ্ছে তিনটি আন্ডারপাস ও ইউলুপ। এতে ভোগান্তি কমে দক্ষিণ কুমিল্লার বাসিন্দাদের মধ্যে ফিরে আসবে স্বস্তি। সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা-ই-রাব্বী এ কথা নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী, পদুয়ার বাজার ও সদর দক্ষিণ উপজেলার সামনে এই তিনটি আন্ডারপাস নির্মিত হবে। এছাড়া ইউলুপ নির্মিত হবে পদুয়ার বাজার এলাকার হোটেল নুরজাহানের সামনে।
এসব স্থানে সম্প্রতি দুর্ঘটনা ও যানজট বেড়ে গিয়েছিলো। তিন কিলোমিটার এলাকায় এসব আন্ডারপাস ও ই্উলুপ নির্মিত হলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমবে বলে আশা সড়ক ও জনপদ বিভাগের।
সূত্রমতে, সম্প্রতি কুমিল্লার তিনটি আন্ডারপাস ও ইউলুপ নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদন হয়।
এতে ব্যয় ধরা হয় ৫৬৮ কোটি টাকা। কাজটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার প্রাথমিক সময় সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, মহাসড়কের বেলতলী এলাকায় একটি বাঁক রয়েছে। এই মোড়ে সংযুক্ত রয়েছে তিনটি সড়ক। একটি কচুয়া চৌমুহনী থেকে এসেছে। অন্যটি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে। আরেকটি বিজয়পুরে প্রবেশ করেছে। এই ব্যস্ততম মোড় অতিক্রম করতে পরিবহন ও পথচারীদের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। এইখানে আন্ডারপাস স্থাপনের জন্য স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন। এখানে নির্মিত আন্ডারপাস দিয়ে গাড়ি চলাচল করবে। এতে কচুয়া চৌমুহনী হয়ে যান চলাচল বাড়বে। চাপ কমবে নগরীর জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল এলাকায়।
অপরদিকে মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড দেশের একটি ব্যস্ততম এলাকা। উত্তরে নগরীর প্রবেশ পথ। দক্ষিণ নোয়াখালী, লক্ষ¥ীপুর ও চাঁদপুরের সংযোগ সড়ক। ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও পথচারীদের মহাসড়ক থেকে সরানো যাচ্ছে না। এতে প্রায় দিন দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে দক্ষিণ পাশের মসজিদ থেকে উত্তরে পথচারী চলাচলের জন্য আন্ডার পাস নির্মিত হবে।
পদুয়ার বাজার মূল মোড় থেকে একটু পূর্বে নুরজাহান হোটেল। এর নিকটবর্তী ইউটার্নে প্রতি সপ্তাহে দুর্ঘটনা ঘটছে। এখানে ইউলুপ নির্মিত হবে।
পদুয়ার বাজার থেকে এক কিলোমিটার পূর্বে সদর দক্ষিণ উপজেলা। মহাসড়ক পার হয়ে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার শ্রীমন্তপুর এলাকায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানেও যান চলাচলেরর আন্ডাপাস নির্মিত হবে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন, প্রকল্পটি মানুষের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে বলে আশা করি। তবে অপরিকল্পিত প্রকল্প মানুষের দুর্ভোগ বাড়ায়। প্রকল্পটি যেন ১০০ বছর সময় মাথায় নিয়ে বাস্তবায়ন করা হয়। যাতে উল্টো দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজা-ই-রাব্বী বলেন, প্রকল্পটির এখনও পরিচালক নিয়োগ হয়নি। টেন্ডার শেষে কাজ শুরু হবে। প্রকল্পটি শেষ হলে আশা করছি এ অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ কমবে।