বিটকয়েনের মাইনিং বাড়াচ্ছে বিদ্যুৎ ব্যবহার ও ই-বর্জ্যরে ঝুঁকি
অর্থনীতি ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘বিটকয়েন’ এর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ বাড়ছে। কেমব্রিজ বিটকয়েন ইলেকট্রিসিটি কনজাম্পসান ইনডেক্সে অনুযায়ী চলতি বছরের শেষে বিটকয়েনের বিদ্যুত ব্যবহার প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৯৬ টেরা ওয়াটে দাঁড়াবে। এই বিদ্যুত ফিলিপাইনের মোট চাহিদার সমান।
এদিকে ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন বলছে, বিটকয়েন নেটওয়ার্ক চলতি বছরের শেষ নাগাদ ঘণ্টায় ৯১ টেরাওয়াট বিদ্যুত ব্যবহার করবে। এরই মধ্যে বিটকয়েন নেটওয়ার্ক প্রতিঘণ্টায় ৬৭ টেরাওয়াটের চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। যা ২০২০ সালে দেয়া পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।
সাইন্স ডিরেক্ট নামের আরেক সংস্থার তাদের গবেষণায় দেখেছে, বিটকয়েনের মাইনার (যারা বিটকয়েন আহরণ করে, একটি প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়ায়) তাদের চক্রাকার মাইনিং প্রক্রিয়ায় ক্ষণস্থায়ী হার্ডওয়ার তৈরি করে। যা বিশ্বের সামগ্রিক ইলেকট্রনিক বর্জ্যের বোঝা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে যখন বিটকয়েনের দাম বাড়তে দেখা যায় তখন ৬৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন পর্যন্ত ই-বর্জ্য তৈরি করে থাকতে পারে বিটকয়েন। কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের অকেজো হয়ে যাওয়ার মাধ্যমেই সাধারণত ই-বর্জ্য তৈরি হয়। ২০২১ সালে বিশ্বের মোট ই বর্জ্যের দশমিক ১১ শতাংশের জন্য দায়ী বিটকয়েন। আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিসটার তথ্য মতে চলতিবছর বিশ্বের মোট ই-বর্জ্যের পরিমাণ ৫ কোটি৭৪ লাখ টন।
এদিকে বিশ্বের বিদ্যুৎ ব্যবহারে দশমিক ৪৩ শতাংশ খরচ হয় বিটকয়েন মাইনিং এ। যার পরিমাণ যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহুত রেফ্রিজারেটরের তুলনায় কম।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, দেশটিতে প্রতিঘণ্টায় রেফ্রিজারেটরের বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ১০৪ টেরাওয়াট।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধতা না পেলেও চলছে বিটকয়েনে বিনিয়োগ এবং মাইনিং।
সম্প্রতি মধ্য আমেরিকার দেশ সালভাদর সরকার বিটকয়েনের লেনদেন বৈধতা দেয়। যদিও দেশটির অনেক নাগরিক এবিরুদ্ধে প্রতিবাদও করে। এদিকে ভারতে গত একবছরে বিটকয়েনে বিনিয়োগ ৭ গুণের বেশি বেড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। দেশটির নীতি নির্ধারকরা বিটকয়েনের ওপর কর আরোপের চিন্তা-ভাবনাও করছে। সূত্র : সময়নিউজ অনলাইন, বাংলানিউজ। গ্রন্থনা : শোভন দত্ত