ভারতের চা শিল্প হুমকির মুখে
অর্থনীতি ডেস্ক : ভারত সস্তায় চা আমদানি করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বেশি দামে রপ্তানি করে থাকে। তবে এবার চা আমদানির বিপুলতার কারণে বিপাকে পড়েছে প্রান্তিক চাষি এবং বাগান মালিকরা।
আমদানি বাড়ায় চা চাষিরা জানান, দেশীয় চায়ের বাজার সুরক্ষার জন্য আমদানিকৃত চায়ের ন্যূনতম দাম নির্ধারণ করে দেয়া প্রয়োজন। টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (টিএআই) জানায়, গত বছর চা আমদানি ২০১৯ সালের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
কিন্তু চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আমদানি ১৭৬ শতাংশ বেড়ে যায়। অত্যন্ত সস্তা দামে চা আমদানি করা হচ্ছে। দেশীয় উৎপাদিত চায়ের চেয়েও কম দামে আসছে এসব চা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষি ও বাগান মালিকরা।
এ ব্যাপারে টিএআই জানায়, ভারতের চা-শিল্প সংকটের মধ্যে রয়েছে। চা-শিল্পকে রক্ষা করতে চাইলে ১০০ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রতিপালন করা প্রয়োজন। উৎপাদন ব্যয় বাড়লেও বাড়ছে না চায়ের দাম। গত দশ বছরে চা-শিল্পে চক্রবৃদ্ধি বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার মাত্র ৪ শতাংশ। অথচ এর বিপরীতে উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ৯ থেকে ১৫ শতাংশ।
টিএআই আরও জানিয়েছে, চা রপ্তানিতে উৎপাদন বাড়লেও স্থানীয় ব্যবহার সেই তুলনায় বৃদ্ধি পায় নি। করোনাসময়ে গত বছর ভারতের চা রপ্তানি ৪ কোটি ৩০ লাখ কেজি কমে যায়।
চলতি বছরেই এখন পর্যন্ত রপ্তানি কমেছে ১ কোটি ১০ লাখ কেজি। এছাড়াও কনটেইনার সংকটে চা-শিল্পে বেড়েছে পরিবহন ব্যয়।
চলতি বছরে ভারতে চা উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। কিন্তু ব্যস্তানুপাতিক হারেই কমেছে রপ্তানি। বছর শেষে রপ্তানি আরও ৮ থেকে ১০ শতাংশ কমে যেতে পারে। তবে আগামী বছরের মধ্যে রপ্তানি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। সূত্র : বিজনেস টুডে, সময়নিউজ অনলাইন