বাংলাদেশকে ৮৫০ কোটি টাকার ঋণ দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক : এ ঋণের বাৎসরিক সুদের হার হবে ০.০৫ শতাংশ। ১৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (এই সময়ে ঋণের আসল বা সুদ পরিশোধ করতে হবে না) মোট ৪০ বছরের মধ্যে এই ঋণ ফেরত দিতে হবে। বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশকে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ৮৫০ কোটি টাকার বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) সোমবার এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এতে স্বাক্ষর করেন ইআরডির এশিয়া, জেইসি ও এফঅ্যান্ডএফ অনুবিভাগ প্রধান মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী; দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের পক্ষে সই করেন কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কিম টে-সো। বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগ কর্তৃক ‘প্রোগ্রাম লোন ফর সাসটেইনেবল ইকোনমিক রিকভারি প্রোগ্রাম (সাবপ্রোগ্রাম-১)’ এর আওতায় এই ঋণ পাবে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড (ইডিসিএফ) হতে বাংলাদেশকে এ ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ ঋণের বাৎসরিক সুদের হার হবে ০.০৫ শতাংশ। ১৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (এই সময়ে ঋণের আসল বা সুদ পরিশোধ করতে হবে না) মোট ৪০ বছরের মধ্যে এই ঋণ ফেরত দিতে হবে। ইআরডি জানায়, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ঘাটতি বাজেটের জন্য বৈচিত্র্যময় উৎস সৃষ্টি হবে।
প্রোগ্রামের আওতায় ইসলামিক ব্যাংকগুলোকে সরকারের ঋণ গ্রহণ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি করা, ডিজিটালাইজেশনসহ উন্নত কর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধ করা, ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করা, কর দাতার সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে আয়করের পরিমাণ বাড়ানো, দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নত কর সেবা প্রদান, উইথহোল্ডিং করের জন্য ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে উন্নত ব্যবস্থাপনা, করোনার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সহায়তা এবং অর্থনীতির গতি পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। কোরিয়া সরকার কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে নমনীয় ঋণসহায়তা দিয়ে আসছে।