ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি নিম্নমুখী হওয়ার আশঙ্কা
অর্থনীতি ডেস্ক : ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিক পর্যন্ত বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানে তাদের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশেরও কম মানুষকে সম্পূর্ণ টিকা দেয়া হয়েছে।
ভারতে করোনা ভাইরাসের ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হয়ে গত বছরের এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে দেশটিতে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। যা দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাতেও প্রভাব ফেলে।
২০২২-এর ফ্ল্যাগশিপ ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টাস (ডব্লিউএসপি) রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের অত্যন্ত সংক্রামক ধরন ওমিক্রন ছড়িয়ে যাওয়ায় মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতি আবার বাড়বে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগের ড. লিউ জেনমিন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ প্রতিরোধে একটি সমন্বিত ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এর মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার সহজলভ্যতার বিষয়টিও থাকতে হবে। এমনটি না হলে মহামারিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতির টেকসই পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিষয়ে জাতিসংঘ বলছে, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে এখানে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ আছে এবং অর্থনীতি নি¤œমুখী হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। জাতিসংঘের মতে, এ অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান দারিদ্র্য ও বৈষম্য মোকাবিলায় নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, টিকা দেয়ার ধীরগতি এ অঞ্চলটিতে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের জন্ম দিতে পারে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিক পর্যন্ত বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানে তাদের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশেরও কম মানুষকে সম্পূর্ণ টিকা দেয়া হয়েছে। বিপরীতে ভুটান, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কায় সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত জনসংখ্যা ৬৪ শতাংশের ওপরে। সূত্র : নিউজবাংলা