আওয়ামী লীগে বিশ্বাসঘাতকতা
শ. ম. রেজাউল করিম
৬৮ বছরের প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গৌরবের পাশাপাশি রয়েছে ভিন্ন চিত্র। বহু আন্দোলন, ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছে এই দলটিকে। বাঙালির যা কিছু অর্জন, তা এই দলেরই নেতৃত্বে। এ দলের নেতাই সর্বকালের সেরা বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতাসহ সবই এই দলের নেতৃত্বে। আধুনিক বাংলাদেশও এই দলের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। কিন্তু বাহির শত্রু মোকাবেলার পাশাপাশি ভিতরের শত্রু মোকাবেলা করতে হয়েছে বারবার। কর্মীদের ভালোবাসায় টিকে রয়েছে শত আঘাতের মাঝেও।
স্বাধীনতা পূর্বকালের একাধিক ভাঙনের মাধ্যমে বিশ্বাসঘাতকতা করেন নেতারা, কর্মীরা নয়। মুক্তিযুদ্ধকালেও যা কিছু ষড়যন্ত্র, বেঈমানি, তা নেতারা, কর্মীরা নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার দায়ও কিছু নেতাদের, কর্মীদের নয়। খুনি মোস্তাক গঙরাও ছিলেন নেতা। আওয়ামী লীগ ভেঙে দ্বিখ-িত করেন নেতারা, কর্মীরা নয়। আবার দল ভেঙে বাকশাল করেন নেতারাই। ড. কামাল এর নেতৃত্বে আবার ভাঙন, সেখানেও নেতারাই। ১/১১ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, তাও নেতারাই। আওয়ামী লীগ এর দুর্দিনে একশ্রেণির নেতারা বিশ্বাসঘাতকতা করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি অন্ধবিশ্বাসী থাকেন কর্মীরা। তারা কখনোই বেঈমানি করেননি। তাই, নেত্রী যথার্থই বলেছেন, কর্মীরাই দলের প্রাণভ্রমরা।
জয় আওয়ামী লীগ, জয় শেখ হাসিনা, জয় বঙ্গবন্ধু।
লেখক : আইনজীবী
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন