রফিক আহমেদ: আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের প্রস্তুতি দফতর উপ-কমিটির আহবায়ক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের অঙ্গীকার ২০২১ এবং ২০৪১ সামনে রেখে দেশকে সমৃদ্ধ করা এবং সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ পরাভূত করা। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে কিছু অভিযানের কারণে- এটি মনে করার কোনো কারণ নেই। এখনো সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদী শক্তির হুমকি আছে। কাজেই এ সম্মেলন একদিকে উন্নয়ন, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িকের প্রধান বিপদ অসাম্প্রদায়িক উগ্রগ্রবাদ শক্তিকে সামনে রাখব। এই অশুভ শক্তিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরাজিত করব, পরাভূত করব, এটাই হবে এই সম্মেলনের মূল অঙ্গীকার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন- সম্মেলনের সব উপ-কমিটি, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীকে ডেকোরাম ও ডিসিপ্লিন রক্ষা করতে হবে। এ দায়িত্ব প্রত্যেক নেতা-কর্মীর উপর বর্তায়। প্রত্যেকে দায়িত্বশীল নেতা-কর্মী হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটি ইতিহাস আছে, ঐতিহ্য আছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে ট্রেডিশনের সঙ্গে টেকনোলজি এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়ে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নবীনদের রক্তসঞ্চালন করা হবে। রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুর বীর কন্যার নেতৃত্বে পার্টির নতুন রক্তসঞ্চালন করে আমাদের মাটিকে (দেশ মাতৃকা) গতিশীল করব।
সব নেতাকর্মীদের আত্মপ্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, সম্মেলনের বাইরে বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যের ছবিসংবলিত ফেস্টুন, ব্যানার ও পোস্টার থাকবে। তবে আত্মপ্রচারের জন্য কারও ছবি ব্যবহার করা যাবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রমুখ। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম