মাহমুদুল আলম : বঙ্গভবনে গতকাল সন্ধ্যায় চীনা রাষ্ট্রপতির সম্মানের দেওয়া নৈশভোজে ছিল ঢাকাই কাচ্চি বিরিয়ানি, শামি কাবাব ও আলু বোখারার চাটনি, আর ডেজার্টে মালাই চপ। তাছাড়া চীনা কায়দার সুপক্ক মাংসের পদও ছিল পরিবেশন করা খাবারে। শি জিনপিংয়ের সম্মানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেওয়া এই নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অংশ নেন।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীনা রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান। বঙ্গভবনের কেবিনেট হলে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর শুরু হয় নৈশভোজ। হোটেল সোনারগাঁওয়ে রান্না করা খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় চীনা রাষ্ট্রপতিকে। ওই হোটেলের কর্মীরাই খাবার পরিবেশন করেন।
বঙ্গভবনের দরবার হলে এই নৈশভোজে অন্যান্য খাবারের মধ্যে একটি পদ ছিল চীনের ঐতিহ্যবাহী সিচুয়ান ঘরানার রান্না। ভোজ শুরু হয় পোচড জায়ান্ট কিং প্রন দিয়ে, পরিবেশন করা হয় আম ও আপেল সালসার সঙ্গে। এরপর টেবিলে আসে ক্রিম অব মাশরুম স্যুপ। সঙ্গে ছিল হোম মেইড ব্রেড।
স্যুপের পর আসে অয়েস্টার সস মেশানো ক্রিপসি সালাদে সাজানো স্মোকড ইল।
মূল খাবারে ছিল- পুদিনার সস আর পাপড়ের সঙ্গে চিকেন টিক্কা। কাচ্চি বিরিয়ানির সঙ্গে আলু বোখারা, দই ও শামি কাবাব। আরও ছিল সিচুয়ান কায়দায় রান্না করা গরুর মাংসের সঙ্গে ভাত। ডেজার্টে ছিল- বাংলাদেশি মিষ্টি মালাই চপ, মৌসুমী ফল, চা আর কফি।
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সুুরেন্দ্র কুমার সিন্হা, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীও অংশ নেন ভোজে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নৈশভোজে গিয়েছিলেন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকীর স্ত্রী পেপ্পি সিদ্দিক।
চীনের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার সফরসঙ্গীরাও নৈশভোজে অংশ নেন। ভোজের আগে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একটি সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন তারা। নৈশভোজ শেষে চীনের রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনের ‘ভিজিটরস বুকে’ স্বাক্ষর করেন। সম্পাদনা : আলাউদ্দিন