গাইবান্ধা গো-খাদ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে খামারিরা
রওশন হাবীব : গাইবান্ধায় হঠাৎ বেড়ে গেছে গো-খাদ্যের দাম। তৈরি খাদ্য থেকে শুরু করে ছোলা ,ভুট্টা, ভুসি খরের দামও এখন খামারিদের নাগালের বাইরে। ফলে বাড়তি দামে খাবার কিনতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন গাইবান্ধার খামারিরা। বর্তমানে গবাদি পশু নিয়ে হতাশায় জেলার কয়েক হাজার খামারি। পর্যাপ্ত খাবারের যোগান দিতে না পেরে কেউ কেউ বিক্রি করে দিচ্ছেন তাদের গবাদি পশু। খাবারের সঙ্গে গরুর দুধ ও গরুর দামের মিল না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের।
সরেজমিনে গেলে খামারি আফজাল জানান, সবকিছুর দাম বেশি। ভুসির দাম, খরের দামও বেশি। দাম যদি হাতের নাগালে থাকতো তাহলে খামার চালানো সম্ভব হতো। আরেক খামারি সাজু বলেন, দুধের দাম না থাকায় খামারের পিছনে খরচ করে আমরা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছি। সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা করেও এখন আমরা আর খামার চালাতে পারছি না।
এদিকে হঠাৎ করে গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসাযীরা সকল দায় খাদ্য আমদানিকারকদের উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে। তারা বলছেন ,আমরা কোম্পানির কাছ থেকে বেশি দামে কিনছি বিধায় আমাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তারা আরো বলেন, গম ভুট্টার দাম বেড়ে গেলে গো খাদ্যের দামও বেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাসুদার রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খামারিদের উপরে বাড়তি চাপ পড়েছে তবে তারা যেন রাস্তার ধারে জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষ করে গো খাদ্যের চাহিদা মিটাতে পারে সে ব্যাপারে আমরা তাদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি।
উল্লেখ্য সরকারি হিসেবে জেলায়, গরুর দুগ্ধ খামার ১০হাজার ৭শত ৩০টি, মোটাতাজাকরই খামার ১০হাজার ৬শ ৫০টি এবং ছাগল ও ভেড়ার ৫হাজার ৪শ ১৬টি খামার রয়েছে।