উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আওয়ামী লীগের আসছে জাতীয় সম্মেলনে নেতাকর্মীদের বিরিয়ানির খাওয়ানো হবে। ৫০ হাজার মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খাদ্য সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চারটি প্রতিষ্ঠানকে। খাদ্য বিতরণের সময় স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষার জন্য দুইশ’ পুলিশ সদস্যকেও রাখা হবে।
জানা গেছে, ২২-২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় সম্মেলনে প্রতিদিন তিনবার খাবার
বিতরণ করা হবে। দুপুরের খাবার হবে বিরিয়ানি। তবে বিদেশি অতিথিদের জন্য থাকবে আলাদা ব্যবস্থা। এসব খাবারের অর্থ কোথা থেকে আসবে এমন প্রশ্নে খাদ্য উপকমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এমপি, বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নেতারা নিজেদের উৎসাহেই খাবারের জন্য এই টাকা ব্যয় করবেন। তবে কোনোভাবেই চাঁদাবাজি যেনো করা না হয়, তার নির্দেশনা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে। ঢাকা দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাহে আলম মুরাদ বলেন, বিভিন্ন দলের সম্মেলনে যেভাবে খাবারের প্যাকেটে নাম লেখা থাকে কে দিলো এবং ব্যানার পোস্টার থাকে-আমাদের সম্মেলনে সেরকম কোনো কিছু থাকবে না। ফলে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে গতকাল সোমবার খাদ্য উপ-কমিটির প্রস্তুতি সভায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে ৫০ হাজার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও সম্মেলনের খাদ্য উপ-কমিটির আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মায়া জানান, সম্মেলনের দুদিন আগে অর্থাৎ ২০ অক্টোবরের মধ্যে খাদ্য উপ-কমিটি সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে বলেও সভায় জানান মায়া। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মায়া আরও জানান, সম্মেলনে উপস্থিত কাউন্সিলর, ডেলিগেট, দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দলের ৫০ হাজার নেতাকর্মীর জন্য খাদ্যের প্রস্তুতি রাখা হবে।