লিহান লিমা: ১৮ বছর আগের ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘন’ মামলা এবং ৮ বছর আগে কৃষ্ণ হরিণ
হত্যামামলায় আবারো আটকা পড়তে যাচ্ছেন সালমান খান। বুধবার ভারতের রাজস্থান সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে বলেছে, ‘সালমান খানের আত্মসমর্পণ করা উচিত এবং দুই মামলার আসামি হওয়ায় তাকে জেলে পাঠানো উচিত।’ ১৯৯৮ সালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে সালমান খানের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর ২০০৭ সালে হরিণ শিকার মামলা ও বন্যপ্রাণী হত্যা এ দুই মামলায় তাকে এক বছর এবং ৫ বছরের জেল দেওয়া হয়। জামিন পাওয়ার এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ‘বজরঙ্গী ভাইজান’কে যোধপুর জেলে কাটাতে হয়েছিল।
এর আগে হাইকোর্ট রায় দেয়, সালমান খানের লাইসেন্স করা বন্দুকের গুলিতেই যে প্রাণীটি মারা যায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সালমান খানের গাড়িচালক হারিশ দুলানি কোর্টে বলেন, ‘শিকারের সময় সালমান এবং তার সহ-অভিনেতা উপস্থিত ছিলেন না।’ প্রসিকিউশনে এ মন্তব্যটিই অভিনেতার বিরুদ্ধে মামলা দুর্বল করার জন্য যথেষ্ট ছিল।
এর কিছুদিন পর ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ওই গাড়ি চালককে খুঁজে বের করে। এনডিটিভিকে হারিশ দুলানি জানান, তিনি মি. খানকে হরিণ শিকার করতে দেখেছেন কিন্তু হুমকি দেওয়ায় তিনি কোর্টে মিথ্যে সাক্ষী দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার রাজস্থান সরকারের আইনমন্ত্রী রাজেন্দ্র রাঠোর জানান, ‘সরকার মামলাটির সুফল এবং কুফল পর্যালোচনা করেছে এবং এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি। সম্পাদনা: ফারুক