এস.ইসলাম জয় : কম্পিউটার প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে মেধার সক্ষমতার প্রমাণ দিতেই সারা বিশ্ব থেকে আগমন ছিল এক ঝাঁক মেধাবীর। হাজারো মেধাবীর উপস্থিতে এক মিলন মেলার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছিল বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা আয়োজনে।
শুক্রবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ঢাকার বসুন্ধরার আইসিসিবি-তে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) এর ৪৫ তম আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকার আসর।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, আমাদের পরিশ্রমী মানুষ আছে। সারা বিশ্বে এখন আমাদের প্রায় ১২ মিলিয়ন লোক কর্মক্ষেত্রে শারীরিকভাবে কাজ করছে। তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করে এবং যেখানে কাজ করে সেই জাতির জন্য সম্পদ তৈরি করে। এর ফলে এটি আমাদের জন্য বিশ্বের সাথে একটি সংযোগ সেতু খুলে দিয়েছে। তিনি বলেন, যদি কেউ দেশের বাইরে যায় তবে সেখান থেকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করে আবার দেশে ফিরে এসে নিজ দেশের উন্নয়নে কাজে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি বলেন আমরা পরিবর্তন আনতে দারিদ্র্যের শৃঙ্খল ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা জনগণের সুবিধার জন্য প্রচুর বিনিয়োগ তহবিলও প্রদান করছি।
মন্ত্রী আরো বলেন যে, আমাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আমরা ক্ষুধাকে আক্রমণ করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে বিশ্ব জাতির মধ্যে আস্থা তৈরি করেছে যে আমরা অবশেষে এই দশকের শেষে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হতে সক্ষম হব। আমরা আশা করি যে, ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের আইসিটি বিভাগের সাথে আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তিতে কাজ করা যা আগামী দিনের জন্য আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের হাতিয়ার হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের (ইউএপি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মাদ আলাউদ্দিন। এর আগে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আইসিপিসির উপনির্বাহী পরিচালক ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস কনটেস্ট এর পরিচালক ড. মাইকেল জে. ডোনাহু। অনুষ্ঠান শেষে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য ও আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস্ ঢাকার পরিচালক অধ্যাপক কামরুল আহসান। এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ এবং বিসিসি নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমারসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।