![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
‘বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছিল’
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এসপি বাবুল আক্তারকে নিয়ে যাওয়া ও গ্রেফতারদের মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করার কারণে নানা সন্দেহের উদ্রেক হয়েছে। সেই সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়ার কারণে এনিয়ে নানা প্রশ্নেরও জন্ম হয়েছে। কি এমন ঘটনা ঘটেছিল তাকে গভীর রাতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনিতো পলাতক ছিলেন না। আর এমনতো না যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলে তিনি পুলিশ ও গোয়েন্দাদের সহায়তা করতেন না। কিন্তু এর পরও তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার শ^শুরবাড়ি থেকে। আবার শনিবার তাকে মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তাকে নিয়ে যাওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন ও কৌতুহল তৈরি হলেও তা ছিল শনিবারের টক অব দ্য কান্ট্রি। আর যদি তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া না হবে তাকে তাহলে কেন বলা হয়েছিল আইজিপি সাহেব তাকে ডেকেছেন তার সঙ্গে দেখা করার কথা বলে কেন নেওয়া হলো?
যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, গ্রেফতারকৃত কয়েকজন আসামির সামনে মুখোমুখি করে আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা এসপি বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বাবুল আক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে না কি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়েছে এ ব্যাপারে মন্ত্রী সুস্পষ্ট করে কিছু বলেননি। মন্ত্রী অবশ্য এর বেশি কিছু বলতে চাননি। যদিও তিনি বলেছিলেন তখনই বলা যাবে না ।
বাবুল আক্তার মিতু হত্যাকা-ের শিকার হওয়ার পর থেকে তার শ^শুরবাড়িতেই থাকছিলেন। শুক্রবার গভীর রাতে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরের বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার কোনো খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বজনরা। এ ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তারাও মুখ খুলছিলেন না। বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে তাদের বনশ্রীর বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় খিলগাঁও থানার ওসি মঈনুল হোসেন ও মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন। আইজি সাহেব দেখা করতে বলেছেন বলে ওকে নিয়ে গেল। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছি না। যারা নিয়ে গেল তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদকারীদের কাছ থেকে ফিরে আসার পর স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকারীদের শনাক্তে অগ্রগতি হয়েছে, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপিসহ গোয়েন্দারা তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। এসব কথা বলেছেন এসপি বাবুল আক্তার। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে থাকার পর বাসায় ফিরে আসেন। বাবুল বলেছেন, তার স্ত্রী হত্যার মামলায় চারজন আসামিকে ধরা হয়েছে। মামলার বাদি হিসেবে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্যই আমি গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যাই। খুনিদের শনাক্ত করার জন্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে ওইভাবে রাতে কেন নিয়ে যাওয়া হলো ও তিনি ডাকলে যেতেন না এমন কোনো আশঙ্কা ছিল কিনা এই ব্যাপারে কোনো কিছু বলেননি। তাকে গ্রেফতারকৃত আসামিদের চিহ্নিত করা ও তাদের মুখোমুখি করে জ্ঞিাসাবাদ করা হয়। শুক্রবার রাতে খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া এলাকায় বাবুল আক্তারের শ্বশুরের বাসা থেকে তাকে নিয়ে যাওয়ার পর শনিবার বাসায় ফিরেছেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। তিনি সেখানেই আছেন। ঘটনার প্রয়োজনে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলেও জানা গেছে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)