বিএসএমএমইউ’র সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণে সরকারের ৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয়
শাহীন খন্দকার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার রহমান খান বলেন, হাসপাতালটির নির্মাণে কোরিয়ান সরকারের বরাদ্দ ছিল ১৩০ মিলিয়ন ডলার। আর বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব তহবীল (ফান্ড) ব্যয় হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।
প্রকল্প পরিচালক ডা. জুলফিকার বলেন, এক হাজার তিনশত কোটি টাকার মধ্যে তিনি বাংলাদেশ সরকারের ৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছেন। ব্যায় বৃদ্ধি ছাড়া যথা সময়ের মধ্যে তিনি হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। হাসপাতালটি নির্মাণে প্রতিদিন কোরিয়ান ২০ থেকে ২৫ জন ইঞ্জিনিয়ার, টেকনোলজিষ্টসহ বাংলাদেশি ৫শ’ জন শ্রমিক কাজ করেছে।
অধ্যাপক ডা. জুলফিকার আরো বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন রাষ্টপ্রধান (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) স্বাস্থ্যখাতে নতুন রোল মডেল উপহার দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সুপার স্পেশাল হাসপাতালে পরিকল্পিত উন্নত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে রোগীরা এখানে সরাসরি সেবা পাবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেমট্যাগে নির্মিতব্য এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিকে সম্পূর্ণ নন-প্রাক্টিসিং ও কর্পোরেট করার ক্ষেত্রে আর কোন বিকল্প চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই দেশে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, হাসপাতালটি নির্মাণের লক্ষ্য দেশের মানুষকে আর বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে না হয়। সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিত ব্যবস্থাপনা জরুরী। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিচালক বলেন, একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সার্বিক প্রচেষ্টায় নির্মিত দেশের প্রথম একমাত্র সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত হাসপাতাল।
তিনি বলেন, এভিডেন্স বেইজ্ড হাসপাতাল, যা চিকিৎসা খাতের গবেষণাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিবে। এটি একটি গবেষণা সহায়ক হাসপাতাল, আইটি বেইজড ক্লিনিক্যাল ট্রিটমেন্ট সম্বলিত। যা বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য খাতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। এমনকি স্বাস্থ্য সেবায় রোল মডেল হতে যাচ্ছে এই সুপার স্পেশালাইজ হসপিটাল।
ডা. জুলফিকার রহমান খান বলেন, দেশের সকল অভিজ্ঞ স্পেশালিস্ট চিকিৎসক ও অন্যান্য দক্ষ জনবলকে একত্রিত করেছে এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। তবে,এক্ষেত্রে নিয়োগকৃত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য সুনির্দিষ্ট বিশেষ বেতন-ভাতাদি ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করাও জরুরী। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য খাতে আরেক মাইলফলক অর্জনে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং কর্পোরেট হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার পলিসি নির্ধারণ প্রয়োজন। দেশীয় স্পেশালিস্ট দ্বারা উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় দেশ ও বিদেশে কর্মরত সকল ধরণের অভিজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবল, যারা এই হাসপাতালে কাজ করতে ইচ্ছুক তাদেরকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একত্রিত করে চুক্তি ভিত্তিক বা খন্ডকালীন নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। ফলে, দেশের সকল বিষয় ভিত্তিক স্পেশালিস্ট, অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ জনবল একত্রিকরণে এক অপার সম্ভাবনা দ্বার উন্মোচিত হবে।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত বাংলাদেশি প্রথিতযশা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সমন্বয় ঘটাবে এই পরিচালনা পর্ষদ। স্বচ্ছ নিয়োগ এবং বিশেষ বেতন-ভাতাদি প্রদানের মাধ্যমে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের জন্য একটি টেকসই হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিকল্প নেই।
সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি মালিকানা হাসপাতাল যেমন- এভারকেয়ার, ইউনাইটেড ও স্কয়ার ইত্যাদিতে কর্মরত, এমনকি দেশের বাহিরে বিদেশী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি স্বনামধন্য অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া যায়।
উন্নত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে নি¤েœাক্ত তিনটি ধাপ অনুসরণ করা যেতে পারে। এর মধ্যে ১. বিদ্যমান জনবল স্থানান্তর করণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান জনবল হতে অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করা যেতে পারে।
২.ভিজিটিং কনসালটেন্সি, দেশে-বিদেশে কর্মরত অভিজ্ঞ ও দক্ষ চিকিৎসকগণও অন্যান্য অবসরপ্রাপ্ত প্রথিতযশা অভিজ্ঞ স্পেশালিস্টগণদের ভিজিটিং কনসালটেন্স হিসেবে চুক্তিভিত্তিক বা খন্ডকালীন নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। ৩. ওভারসিজ কনসালটেন্সি, বাংলাদেশি অনেক স্বনামধন্য ডাক্তার বিদেশে কর্মরত আছেন এবং যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অর্জিত অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশের সেবা করতে আগ্রহী। এবিষয়ে তাঁদেরকে দেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে ইচ্ছাকৃতদের খন্ডকালীন বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
যা থাকছে এই বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হাসপাতালে: এই স্পেশালাইজড হাসপাতাল গড়ে উঠেছে ৯টি ফ্লোর ও ৩টি বেজমেন্ট নিয়ে। যা সুসজ্জিত হবে প্রায় ৮৫০ বেড দিয়ে। যার মধ্যে থাকবে ১০০টি আইসিইউ বেডসহ ইমার্জেন্সী বেড। এখানে থাকছে সুবিশাল পার্কিং সুবিধা। যেখানে প্রায় ২৫০টি গাড়ি পার্কিং করা যাবে। চিকিৎসা সেবার জন্য এটাকে প্রধান ৫টি সেন্টারে ভাগ করা হবে। যেখানে থাকবে জরুরি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার,মাদার শিশু কেয়ার সেন্টার, কিডনি ডিজিজ, গ্যাস্ট্রোলজিষ্ট, হৃদরোগ সেন্টার, হেপাটাইটিজসহ প্রায় আরো ১৪টি অপারেশন থিয়েটার। যেখানে বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিস্থাপনসহ উন্নত মানের সার্জারি কাজ সম্পন্ন হবে।
এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হাসপাতালে থাকবে ৫টি ভিভিআইপি/ভিআইপি কেবিনসহ অন্যান্য আইসোলেটেড কেবিন, ওয়ার্ড, সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার, মেডিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার, করোনারি কেয়ার ইউনিট, নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট। উন্নত এসব সেন্টার এবং ইউনিটে কাজের জন্য ব্যবহৃত হবে সব আধুনিক সব যন্ত্র ও অপারেটিং থিয়েটার ও টুলস। যার গুণগত ব্যবহার নিশ্চিত হবে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে।
উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হচ্ছে এই স্পেশালাইজড হাসপাতাল প্রকল্পটিকে সাজানো হয়েছে দুই উপায়ে। ১. হাসপাতাল নির্মাণ, ২. উন্নত প্রশিক্ষণ। এই স্পেশালাইজড হাসপাতালটি পরিচালনার জন্য চিকিৎসকসহ প্রায় ৬১০ জন স্বাস্থ্য কর্মীকে উন্নত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষিত করে তোলা হবে। যা জাতির জন্য দক্ষ জনশক্তি হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
হাসপাতালের প্রশিক্ষণ বিষয়টিকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। ১. ফরেইন ট্রেইনিং ইন কোরিয়া- ১৪০ জন (চিকিৎসক ৮০ জন, নার্স ৩০, মেডিকেল টেকনিশিয়ান-১০) এবং প্রশাসন- ২০ জন, ২. লোকাল ট্রেনিং ইন বাংলাদেশ ৪৮০ জন হাসপাতালের সার্ভিস চালু হওয়ার পর লোকাল ৪৮০ জনকে দেশে ট্রেইনিং দেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় ৫৬ জন (চিকিৎসক ১৮ জন, নার্স ১৮ জন, মেডিকেল টেকনিশিয়ান ৮ জন ও ম্যানেজার ১২ জন) কোরিয়ান বাংলাদেশে আসবেন এবং তাদের ট্রেইনিং সার্ভিস সরবরাহ করবেন।
বঙ্গবন্ধু সুপার স্পেশালাইজড হসপিটালে অত্যাধুনিক বিভিন্ন সেন্টার ও ইউনিট এর মাধ্যমে বহুজাতিক নিয়মানুবর্তিতায় বহুজাতিক ভূমিকা পালন করা হবে। এটি কোন একক ডিসিপ্লিনে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এই ধারা অব্যহত রাখতে হসপিটালের স্পেশালাইজড সেক্টর আরো মজবুত করার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপতাল-ফেইজ-১ এর কাজের লক্ষনীয় অগ্রগতি পরিলক্ষিত হওয়ায় কোরিয়ান অর্থায়নে ফেইজ-২ এর ফিজিবিলিটি স্ট্যাডির কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ সরকার বেতার ভবনের যে জায়গাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন সেখানে ১২০০ বেডের প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ফেইজ-২ এর কাজসম্পন্ন হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপতাল-ফইজ-১ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফেইজ-২ তে বিভিন্ন সেন্টার যেমন- অফথালমোলজি, ডেন্টিস্ট্রি, ডার্মাটোলজি, মেডিসিন, রেসপাইরোটেরি মেডিসিন, ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন এবং জেনারেল সার্জারিসহ আরো সেন্টার গড়ে উঠবে। বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হসপিটালে গ্রাহক পাবে দশ স্বাস্থ্য সুবিধা, এ যেন ১ এর ভিতর ১০। সুপার স্পেশালাইজড হসপিটালে ট্রেইনিং প্রাপ্ত সব স্পেশালাইজড চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে এক অনবদ্য সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল হিসাবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। সেন্ট্রাল থেকে নিয়ন্ত্রণ এই স্পেশালাইজড হাসপাতালে সেবা নিতে এসে গ্রাহককে অন্য কোন জায়গায় যেতে হবে না। কারণ হাসপাতালের ভেতরেই থাকবে একটি কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিট বিশিষ্ট উন্নত কিচেন। যার আওতায় ৩টি ক্যাফেটেরিয়া, ৯০ সিট বিশিষ্ট ডক্টরস ক্যাফেটেরিয়া, উন্নত লন্ড্রী হাউসসহ কার পার্কিংয়ের বিশাল সুবিধা। এখানে ১টি ভিভিআইপি এলিভেটরসহ ১৬টি এলিভেটর ও ১টি এসক্যালেটর, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাপনা, হিটিং, ভেনটিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু স্পেশালাইজড হাসপাতালের কার্যপরিধি-কার্যক্রম বিবেচনা করে তথ্য ও প্রযুক্তি ভিত্তিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই হাসপাতালে থাকবে এক মেগা হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম (এইচআইএস)। যার আওতায় অন্তর্ভূক্ত কাটিং এজ ইনফরমেশন সিস্টেমসহ আইটি সিস্টেম। এই অটোমেটেড হসপিটাল ইনফরমেশন সিস্টেম এর আওতায় রোগীদের ডিজিটাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইভিডেন্স বেইজড মেডিসিন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্বাস্থ্য খাতের পরিধির বাহিরেও নানাবিধ কার্যক্ষেত্র তৈরী হবে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গঠন করে দেশের অর্থনীতিতে এক বিশাল ভূমিকা পালন করবে।
এ হাসপাতাল পরিচালনার জন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ অন্যান্য এক হাজার লোকের প্রয়োজন হবে। যারা দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষ কর্মীদের সান্নিধ্যে থেকে নিজেদের উন্নত ও দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত করার সুযোগ পাবে। এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের আউটপ্যাসেন্ট সেন্টার থেকে গড়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ হাজার রোগী সেবা পাবে। যা বাৎসরিক হিসাবে গড়ে প্রায় ২২ হাজার ইনডোর রোগীর চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম