তিস্তা খনন অনেক দিন আগেরই প্ল্যান, এখনো কিছুতো হয়নি : পররাষ্ট্রসচিব
মো. আখতারুজ্জামান : তিস্তা নদীর পাড়ে দুটি খাল খননের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছে নোট ভারবালের (ক‚টনৈতিকপত্র) মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
নোট ভারবালে ঢাকার পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এটা হয়তো তাদের অনেক দিন আগেরই প্ল্যান। তবে এখনো কিছুতো হয়নি।
তিস্তায় পশ্চিমবঙ্গের খাল খননের বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ভারতকে চিঠি পাঠানোর কথা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে কিনা, পররাষ্ট্রসচিবের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমরা নোট ভারবালের মাধ্যমে তথ্য জানতে চেয়েছি। এ বিষয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে কিনা আমি জানি না। আমরা নোট ভারবালের মাধ্যমে জানতে চেয়েছি।
স¤প্রতি ভারতের গণমাধ্যমে খবর এসেছে, কৃষিকাজের জন্য পানি সরাতে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খনন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ বিভাগ। এ উদ্যোগ ভারতের জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় কৃষি খামারকে সেচের আওতায় আনতে সাহায্য করবে।
তিস্তায় পশ্চিমবঙ্গের খাল খননের বিষয়ে নয়াদিল্লির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে ৩ দিন আগে জানিয়েছিলেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। একই দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন জানান, তিস্তায় খাল খননের বিষয়ে পরিস্থিতি সতর্কভাবে পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে চেষ্টা চলছে।
স¤প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্পের আওতায় আরও দুটি খাল খননের জন্য ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেচ বিভাগ প্রায় এক হাজার একর পরিমাণ জমির মালিকানা পেয়েছে। জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের উপস্থিতিতে সেচ বিভাগকে জমির মালিকানা হস্তান্তর করেছে। এ জমির মাধ্যমে তিস্তার পূর্ব তীরে দুটি খাল তৈরি করবে প্রশাসন।