হজ প্যাকেজে ভাড়া কমাবে না বিমান
মো. আখতারুজ্জামান : বিমানের এমডি শফিউল আজিম বলেন, ভারত-পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশ থেকে হজের বিমান ভাড়া অনেক কম। আমরা সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এরপর আর কমানো সম্ভব নয়। তাছাড়া হজযাত্রী বহনে বিমানের প্রতিটি ফ্লাইটই ডেডিকেটেড। ডলারের দাম বৃদ্ধিও একটি কারণ। ভারত ও পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে হজ প্যাকেজে বিমান ভাড়া অনেক কম বলে দাবি করেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম। তিনি বলেছেন, হজ প্যাকেজে ভাড়া কমানো সম্ভব নয়। আমরা সর্বনি¤œ ভাড়া নির্ধারণ করেছি। এরপর আর কমানো সম্ভব নয়।
রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকায় রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। হজযাত্রী পরিবহনসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে শফিউল আজিম বলেন, হজ প্যাকেজে ১৬টি ব্যয়ের খাত থাকে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে বিমান ভাড়া। এই ভাড়া বিমান এককভাবে নির্ধারণ করে না। বিমান শুধু ফ্লাইটের ভাড়া প্রস্তাব করে। পরে বিমান মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, সংসদীয় কমিটিসহ সরকারের অন্যান্য সংস্থা অনুমোদন দেয়। প্রতি বছর ভারত, পাকিস্তানেও হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। এবার তারা এখনও হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেনি। তবে বিগত বছর আমরা দেখেছি তাদের চেয়ে আমাদের বিমান ভাড়া কম। বিমানের এমডি বলেন, এবার হজে বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা। বিমান এর চেয়ে আর ভাড়া কমাতে পারবে না। কারণ বিমানের প্রতিটি ফ্লাইটই ডেডিকেটেড। শুধু যাত্রী নিয়ে যাবে, ফেরার সময় যাত্রী বহন করবে না। আবার হজ শেষে হজযাত্রীদের নিয়ে আসবে, কিন্তু যাওয়ার সময় যাত্রী নেবে না। এ কারণে ভাড়া কমানো সম্ভব নয়। বিগত বছরের তুলনায় এবার ডলারের দাম অনেক বেড়েছে। ডলারের দাম বাড়লে বিমান পরিচালনার খরচও বেড়ে যায়।