৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব ওঠছে ক্রয় কমিটিতে
সোহেল রহমান : দেশের কৃষিখাতের চাহিদা মেটাতে ৪০ হাজার টন ডাই-অ্যামোনিয়া ফসফেট (ডিএপি) সার আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় মরক্কো’র ওসিপি থেকে প্রথম লটে এই সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন ৬১০ ডলার দরে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৬২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিএডিসি সূত্রে জানা যায়, এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে ডিএপি সার আমদানি করা হয়েলি। সে সময় প্রতি টন ডিএপি সারের দাম ছিল ৭১০ ডলার। সে হিসেবে এবার প্রতি মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানিতে ১০০ ডলার সাশ্রয় হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফসল উৎপাদনে ডিএপি সার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। দেশের কৃষি উৎপাদনে ডিএপি সারের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বিএডিসি’র মাধ্যমে মরক্কোর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ওসিপি থেকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির আওতায় ২০১০-২০১১ অর্থবছর থেকে ডিএপি সার আমদানি করা হচ্ছে। নিরাপত্তা মজুদসহ বাংলাদেশে ডিএপি সারের বাৎসরিক চাহিদা প্রায় ১৯ লাখ টন। এর মধ্যে বিএডিসি রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ টন ডিএপি সার সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়া, বিসিআইসি প্রায় ১ লাখ টন ডিএপি সার উৎপাদন করে থাকে। চাহিদার অবশিষ্ট প্রায় ৭ লাখ মিট্রিক টন ডিএপি বেসরকারি পর্যায়ের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। বিএডিসি’র মাধ্যমে মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানির বিষয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন রয়েছে।
সূত্র জানায়, বিএডিসি ও ওসিপি’র মধ্যে ইতোপূর্বে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর চুক্তি নবায়ন করা হয়। বিএডিসি ওই চুক্তির আওতায় মরক্কো থেকে ৪০ হাজার মেটিক টনের ১৩টি লটে মোট ৫ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করবে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সরাসরি ডিএপি সার ক্রয়ের জন্য ওসিপি ও বিএডিসি’র মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী এই সার আমদানি করা হবে।
সূত্র জানায়, ওসিপি’র সঙ্গে বিএডিসি’র সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী সারের আন্তর্জাতিক বাজার দর সংক্রান্ত দুটি প্রকাশনা আরগুস ফসফেট ও ফার্টিকন এ প্রকাশিত এফওবি দরের গড় থেকে ১০ ডলার বিয়োগ করে আমদানিতব্য সারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মরক্কো থেকে প্রথম লটের ডিএপি সার আমদানির জাহাজীকরণের সময়সীমা ২০২৩ সালের ১-৫ এপ্রিল সময়কালে নির্ধারণ করে প্রাইস অফার চাওয়ার প্রেক্ষিতে চুক্তির মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী ওসিপি প্রতি মেট্রিক টনের জন্য ৬১০ ডলার দরপ্রস্তাব করে।