৪৪ ধরনের সরকারি পরিষেবা পেতে টিআইএনধারীদের ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে
আমিনুল ইসলাম : বাজেটে কর সংগ্রহকারী এজেন্ট নিয়োগের ধারণাটিকে সমর্থন করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, তবে এটি ধীরে ধীরে এবং পদ্ধতিগতভাবে করা উচিত। এছাড়া কেউ ভ্যাট দিতে না চাইলে তাকে জিনিসপত্র না কেনার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভ্যাট রাজস্ব আহরণের একটি ভালো পদ্ধতি। ভ্যাট না দিতে চাইলে জিনিসপত্র কিনবেন না। এ সময় নূন্যতম দুই হাজার টাকা করের পদ্ধতি মানুষকে করের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবে বলেও জানান মন্ত্রী।
কর সংগ্রহকারী এজেন্ট নিয়োগের ধারণাটিকে সমর্থন করেন, কারণ এটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে, তবে এটি ধীরে ধীরে এবং পদ্ধতিগতভাবে করা উচিত। মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে তার আমদানির ক্ষেত্রে নির্বাচনী হতে হবে। তিনি আরও বলেন, জনগণের জন্য এটি সহজ করার জন্য কিছু খাদ্য সামগ্রীর উপর ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। নতুন আয়কর আইন, ২০২৩ পাসের আগে ব্যবসায়ী স¤প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ এবং পরামর্শের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সম্মত হন। শনিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট আয়োজিত বাংলাদেশ থেকে দুর্বলতা থেকে স্থিতিস্থাপকতা এবং দ্রæত অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন শীর্ষক একটি পোস্ট-বাজেট ২০২৩-২০২৪ বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্না এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে কৃষিতে ভর্তুকি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, নির্ধারিত কয়েকটি খাতেই ভর্তুকি দেয়া হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমাতে সরবরাহ স্বাভাবিক করা ও বাজারকে স্থিতিশীল করার বিষয়ে গুরুত্বরোপ করেন তিনি। ৭ জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে ট্যাক্স কালেক্টর দিয়ে রাজস্ব আহরণ করা হবে। সফলতা এলে প্রক্রিয়াটি স্থায়ী করা হবে।
সভায় এমসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরান টি রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও পিআরআই চেয়ারম্যান ডক্টর জাইদি সাত্তার, পিআরআই ভাইস চেয়ারম্যান ডক্টর সাদিক আহমেদ, এমসিসিআইয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন করিম, এমসিসিআই পরিচালক আদিব এইচ খান, বাজেটের চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করেন।
কামরান টি. রহমান বলেন, আমাদের জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশের উপর প্রস্তাবিত বাজেটের প্রভাব বোঝার সুযোগ করে দেবে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে বাজেট সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাজেট ব্যবস্থাপনার গতিশীলতা, কর নীতি সংস্কার, কর ব্যবস্থার স্বয়ংক্রিয়করণ, কর আদায়ে সামগ্রিক সিস্টেমের ক্ষতি হ্রাস, কর প্রশাসনের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যথাযথ পরিষেবা প্রদানের আরও সুযোগ রয়েছে। তিন মাস পর বাজেটের অন্তর্র্বতীকালীন মূল্যায়নও হওয়া উচিত।
সাদিক আহমেদ তার হস্তক্ষেপে বলেন, তিনি এই বাজেটের চারটি বড় চ্যালেঞ্জ দেখেছেন। সেগুলো ছিল: (১) সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা (২) রাজস্ব সংগ্রহের চ্যালেঞ্জ (৩) বাজেট ঘাটতির বিচক্ষণ অর্থায়ন এবং (৪) সামাজিক খাতে ব্যয় রক্ষা করা।
প্যানেল আলোচনার সময় যে অন্যান্য বিষয়গুলি এসেছিল তা হল অগ্রিম আয়কর, কোম্পানির লভ্যাংশের উপর বহু-স্তরীয় কর, রাজস্ব সংহতি, নি¤œ কর-জিডিপি অনুপাত, করদাতাদের মধ্যে আস্থার অভাব এবং কর সংগ্রাহক, সম্পত্তি হস্তান্তর কর দ্বিগুণ করা এবং করযোগ্য আয় না থাকা সত্তে¡ও ৪৪ ধরনের সরকারি পরিষেবা পেতে সকল ধারকদের ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে।