মো. ইমরান হোসেন, নড়াইল : প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ নিধন বন্ধে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর টানা ২২ দিন দেশের পদ্মা, মেঘনা, মধুমতিসহ বিভিন্ন নদীতে জাল ফেলা নিষেধ ঘোষনা করেছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর।
উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ সময়ে বিভিন্ন জেলার বেকার জেলেদের ভর্তুকি হিসেবে অঞ্চল ভিত্তিক ৩০ থেকে ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দের ঘোষণা দেয় সরকার। কয়েকটি জেলার জেলেরা সরকারের সেই বরাদ্দ পেয়েছেনও। নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার প্রায় ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলেরা সরকারের আহবানে সাড়া দিলেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বরাদ্দের চাল অথবা আর্থিক কোন সহযোগিতা। অনেক জেলে মাছধরা বন্ধ করে পরিবার নিয়ে মানবেতর জিবন-যাপন করছে। অন্য কোন পথ না থাকায় কিছু কিছু জেলে নদীতে অন্যান্য মাছ ধরতে গিয়ে প্রশাসনের তোপের মুখে পড়ছেন। জেলেরা বলছেন, সরকার থেকে আমরা কোন সহযোগিতা পায়নি।
এসময়ে মধূমতীতে প্রচুর ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ধরা পড়ে। আমরা মা ইলিশ ধরতে চায়না, অন্যান্য মাছ ধরে বাজারে বিক্রয় করে ছেলেমেয়েদের দুবেলা দুমুঠো খাবার সামনে দিতে চায়। কিন্তু বর্তমানে নদীতে অন্য মাছ মারতেও পারছিনা। প্রশাসনের লোকজন আমাদের মাছ ধরতে নিষেধ করছেন। আমরা যদি সরকার থেকে কোন আর্থিক সহযোগিতা না পায় তাহলে আমাদের সংসার চলবে কিভাবে?
ইতোমধ্যে মা ইলিশ রায় মধুমতি নদীতে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজাসহ উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর। অভিযানে কিছু ইলিশ মাছও জব্দ করা হয়। লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রনজিত কুমার বলেন, নিবন্ধিত যেসব জেলেরা সরকারিভাবে ভর্তুকি পাচ্ছেন না তাদের সরকারি বরাদ্দ পাওয়া উচিত। সম্পাদনা : তারেক