শিবকে যে অর্ঘ্য দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়
রুদ্র মুর্খাজী
প্রাচীনকাল থেকেই শিবলিঙ্গের উপাসনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বেলপাতা কয়েকটি বিশেষ বস্তু অর্ঘ্য দিয়ে এসেছে। বিশ্বাস এই বস্তুগুলো শিবলিঙ্গে প্রদান করলে বিশেষ বিশেষ মনস্কামনা পূর্ণ হয়। শিবলিঙ্গে বিবিধ অর্ঘ্য প্রদানের রীতি অতি প্রাচীন। কথিত আছে, তিনি একটি বেলপাতাতেই তুষ্ট। কিন্তু অতি প্রাচীনকাল থেকেই শিবলিঙ্গের উপাসনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বেলপাতা কয়েকটি বিশেষ বস্তু অর্ঘ্য দিয়ে এসেছে। বিশ্বাস এই যে, এই বস্তুগুলো শিবলিঙ্গে প্রদান করলে বিশেষ বিশেষ মনস্কামনা পূর্ণ হয়। কী সেইগুলো দেখা যাকÑ
শিবলিঙ্গে ধুতুরা নিবেদন করলে জীবনে সমৃদ্ধি আসে, জীবন অনেক সহজ হয় বলে জানায় বিবিধ পুরাণ। শিবলিঙ্গে দুধ-গঙ্গাজল প্রদানের সময়ে তা লিঙ্গগাত্রে ঘষে দেওয়ার বিধি অতি প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। বিশ্বাস এই, এর ফলে জীবন সুখের হয়। বিবাহিত জীবন সুখপ্রদ করতে শিবলিঙ্গে জাফরান প্রদান বিধেয়। এর দ্বারা বিবাহে বাধাও দূর হয়। শনির সাড়ে সাতি দশা কাটাতে শিবলিঙ্গে তিল প্রদানের রীতিও বহু প্রাচীন। ১১টি বিল্বপত্র দ্বারা নির্মিত মালা শিবলিঙ্গে প্রদান করলে অশুভ প্রভাব জীবন থেকে দূর হঠে বলে বিশ্বাস রয়েছে। শিবলিঙ্গে দুর্বাঘাস প্রদান করলে নীরোগ জীবন লাভ হয় বলে বিশ্বাস। শিবলিঙ্গে দুগ্ধ প্রদানের জন্য তাম্রপাত্রই প্রশস্ত। আর্থিক সমৃদ্ধিকে অব্যাহত রাখতে শিবলিঙ্গে চাল প্রদান করাও প্রাচীন রীতি।