এস.ইসলাম জয় : [১] ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ৩০ জুনের মধ্যে টেলিকম খাতের সকল লোকসানি কোম্পানি সমূহকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই জন?্য সংশ্লিষ্টদের ইনট্রিগেটি, ইনক্রিয়েস ইফিসিয়েন্সি, ইমপ্রুভ প্রসেস এন্ড পারফরমেন্স, ইনট্রেক উইথ রেগুলেটর্স, ইনভেস্টমেন্ট এট্রেকশন এবং আইটি এন্ড আইটিস এক্সপোর্ট প্রমোশন ইংরেজি শব্দের আই আদ?্যক্ষর এই ৬টি আই মেনে চলতে হবে।
[২] রোববার তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই নির্দেশনা প্রদান করেন।
[৩] ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম?্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ স?্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম?্যান ড.শাহজাহান মাহমুদ সহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্ধতন কর্মকর্তাগণ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
[৪] তিনি প্রোডাকটিবেলিটি, প্রোডাক্ট ডাইভারসিটি প্রমোশন এবং প্রসেস টু কানেক্ট কাস্টমার এই চার শব্দের পি আদ?্যক্ষরের ওপর কাজ করতে প্রস্তাব জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
[৫] প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ৪টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সোসাইটি। গত মেয়াদে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা তৈরি করেছি।
[৬] আমরা প্রায় ৪০ টি প্রকল্প চিহ্নিত করেছি যেগুলি আমাদের যাত্রা শুরু করার জন্য বাস্তবায়ন করা দরকার। এই মেয়াদে আমাদের চ্যালেঞ্জ হল আমরা দক্ষতা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার সাথে ৪ টি স্তম্ভের অধীনে সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম তা নিশ্চিত করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো, সাশ্রয়ী মূল্যের ইন্টারনেট অ্যাক্সেস এবং আইসিটি সেক্টরের বিকাশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে। নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম, সততা, সাহস এবং উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা দিয়ে, চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা সম্ভব।
[৭] পরে প্রতিমন্ত্রী এমটব, বাক্কো, আইএসপিএবির নেতারা এবং মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের সিইও-সহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের সাথে মত বিনিময় করেন।