আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কৃত্রিম উপগ্রহ বিধ্বংসী মহাকাশের অস্ত্র ‘নতুন হুমকি’ হয়ে উঠেছে। মহাকাশ যুদ্ধের এমন অস্ত্র বানানোর তৎপরতায় পুরোদমে নিয়োজিত রয়েছে রাশিয়া, চীন এবং আমেরিকা। এ অবস্থায় উপগ্রহ রক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে নতুন চিন্তা-ভাবনা চলছে। সব মিলিয়ে এতে যুদ্ধের নতুন অভিশাপ সৃষ্টি হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। আইআরআইবি
বর্তমানে কক্ষপথে যে সব কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে তার প্রায় কোনোটিতেই উপগ্রহ বিধ্বংসী অস্ত্র ঠেকানোর কোনো ব্যবস্থা বসানো হয় নি। ফলে মহাকাশের অস্ত্র দিয়ে হামলা হলে এ গুলো রক্ষা পাবে না। ভবিষ্যতে কৃত্রিম উপগ্রহ কর্মসূচি গ্রহণ করার সময়ে ‘নতুন হুমকি’র বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন এবং আমেরিকার এ জাতীয় তৎপরতার পাশাপাশি ভারতসহ আরো কিছু দেশের কথা মনে রাখতে হবে। অদূর ভবিষ্যতে এ সব দেশ পুরোপুরি নিজস্ব প্রযুক্তিতে কৃত্রিম উপগ্রহ বিধ্বংসী মহাকাশের অস্ত্র ব্যবস্থা তৈরিতে সক্ষম হয়ে উঠবে।
বর্তমানে উপগ্রহ বিধ্বংসী মহাকাশের অস্ত্র ব্যবস্থা প্রচ- ব্যয়বহুল হওয়ায় এ প্রযুক্তির দিকে সহজে ঝোঁকা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু ভবিষ্যতে এ ব্যয় কমে আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ ছাড়া, চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ ভাসিলি কাশিন বলেছেন, ভবিষ্যতে কৃত্রিম উপগ্রহে অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক যুদ্ধ-ব্যবস্থা বসানো থাকবে। এতে কৃত্রিম উপগ্রহ চট করে ধ্বংস করাও সহজ হবে না। এতে ভবিষ্যত যে কোনো যুদ্ধ নিশ্চিত ভাবেই পৃথিবী অতিক্রম করে মহাকাশেও ছড়িয়ে পড়বে। অবশ্য মহাকাশের অস্ত্র মানব জাতির জন্য যুদ্ধের নতুন অভিশাপ নিয়েই আসবে বলে শান্তিপ্রিয় অনেক মানুষ মনে করছেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ