বিশ্বজিৎ দত্ত: [১]বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) কমেছে। মূলত এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১২৯ কোটি ডলার আমদানি দায় পরিশোধের পর রিজার্ভ কমেছে।
[২]গতকাল সোমবার সকালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার।
[৩]জানা যায়, ৬ মার্চ বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১১৫ কোটি ডলার ও মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৩৩ কোটি ডলার। এর পরদিন আকুর মাধ্যমে ১২৯ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়। এরপর বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ কমে হয় ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। অন্যদিকে মোট রিজার্ভ কমে হয় ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের কিছু বেশি।
[৪]এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন তথা আকু হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যকার একটি আন্ত–আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তিব্যবস্থা। এশিয়ার ৯টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, এই ব্যবস্থার মাধ্যমে তা প্রতি দুই মাস পরপর নিষ্পত্তি হয়। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়। আকুর সদস্যদেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ ব্যবস্থা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
[৫]এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ডলার-টাকা অদলবদল বা সোয়াপ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভের পতনের ধারা শ্লথ হয়েছে। নতুন এ ব্যবস্থার ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার ও টাকার অদলবদল করতে পারছে। সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।