ওয়াসী মাহিন
গ্রেফতার সমাধান না। সে দুই পয়সা আয়ের জন্য চেষ্টা করছে। হয়ত তার মাথায় এর থেকে ভাল কিছু খেলেনি। আয়ের তাড়নায় সে চেষ্টা করেছে। তাও খেটে। হয়ত বুঝেনি কোনটা ঠিক বা বেঠিক। গ্রেফতার করে ক্রিমিনালের মত ছবি ছাপিয়ে, এদের নির্বুদ্ধিতা নিয়ে হাসাহাসি করে আমাদের সাময়িক বিনোদনের খোরাক হিসাবে হয়ত আমরা ব্যবহার করব। সপ্তাহ ঘুরতে সব ভুলে বসব। কিন্তু বাস্তবতা হল, এদেশের সবাই দুই পয়সা কামাতে এর থেকেও ভয়ংকর সব কর্মকান্ডে লিপ্ত, সেই হিসাবে এই যুবকের কাজ ঠিকি আছে।
গ্রেফতারের পরিবর্তে উচিত ছিল তাকে বোঝানো যে এটা আইনসিদ্ধ কাজ নয়। এরপর অন্য কোন কাজের আইডিয়া দেয়া যেতে পারত বা সুযোগ বুঝে নিযুক্ত করা যেতে পারত। এতে হয়ত সে আইন অমান্য হয়না এমন কিছুকে জীবিকা হিসাবে বাছাই করতে পারত। কিছু আয়ের জন্য তার এই চেষ্টা দেখে মনে হয়েছে সঠিক ধারণা ও নির্দেশনা পেলে সে পরিশ্রম করতে দ্বিধা করবে না।
চলমান রমজান মাসের খেজুর, তরমুজের বাম্পার ব্যবসা দেখে মনে হয়েছে এই যুবক যা করেছে, আমার উপায় না থাকলে হয়তো আমিও তাই করার সাহস করতাম। তবে কথা হল, ট্রাফিক সেফটি, আইন কানুন এখনো দেশের বৃহৎ অংশের মানুষের কাছে দুর্বোধ্য অথবা তারা জানেনা। অনেক শিক্ষিত লোকেরাও জানেনা। গ্রেফতারের মত বড় কিছু একজনের মানসিকভাবে ও সামাজিকভাবে অনেক হেয় করে। প্রকাশ্যে ড্রাগ নেয়, আঠা খায়। কেউ কিছু বলেনা। ছিনতাই করে। কেউ কিছু বলেনা। বাসের ড্রাইভার রাস্তা বন্ধ করে বাসের ইঞ্জিন অফ করে আধা ঘন্টা দিব্বি কাটায় যাত্রী তোলার নামে। পেছনে কিলোমিটারের জ্যাম পড়লেও কেউ দেখার নেই। ধরার দরকার ছিল ওদের। ওদের লাইসেন্স আছে। ওদের ট্রাফিক আইন জানা আছে যেহেতু লাইসেন্স আছে। ওদেরকে গ্রেফতার করাটা জাস্টিফাইড মনে হয়।