সোহেল রহমান : [১] বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
[২] মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে চলমান বিশ্বব্যাংক-আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর বসন্তকালীন বৈঠকে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। [৩] অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক সংস্কারে সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো কাজে লাগছে। মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরলেও যারা নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে তারা খুশি না। [৪] জিডিপি প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আইএমএফ-এর পূর্বাভাস নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন অর্থমন্ত্রী।
[৫] এ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশ। আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমবে আইএমএফ-এর এমন পূর্বাভাসে চিন্তার কিছু নেই। [৬] এ সময় অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উত্তরণের ধারা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
[৭] অন্যদিকে আইএমএফ-এর মতে, চলতি অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়াতে পারে ৯.৩ শতাংশ, তবে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা কমে দাঁড়াতে পারে ৬.১ শতাংশে। [৮] আইএমএফ ছাড়াও সম্প্রতি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)-এর পূর্বাভাস মতে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.১ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা ৬.৬ শতাংশ হবে রপ্তানি খাতের প্রবৃদ্ধির হাত ধরে।
[৯] এদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র হিসাব মতে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্ধেক হয়ে ৩.৭৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এটি তিন ত্রৈ-মাসিকের মধ্যে সবচেয়ে কম। অভ্যন্তরীণ খরচ কমে যাওয়ায় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি দ্রুত কমেছে।
[১০] অন্যদিকে বিবিএস-এর হিসাবে, চলতি পঞ্জিকা বছরের গত মার্চ শেষে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৯.৮১ শতাংশ। এর আগে ফেব্রুয়ারি-তে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৬৭ শতাংশ। অর্থাৎ মার্চে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।