নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাত বছরের কারাদ- ও ২০ কোটি টাকা জরিমানার সাজা পরোয়ানা জারি হয়ে তা থানায় পৌঁছালেও এ নিয়ে চিন্তিত নন তারেক রহমান। তার আইনজীবীরাও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তারা মনে করছেন যে, বিচারিক আদালত পরোয়ানা দিয়েছে। আর পরোয়ানা দেওয়ার পরও সেটি রাজনৈতিক কারণেই দ্রুত থানায় পাঠানো হয়েছে মনে করছেন। এ কারণে আপাতত তাদের করণীয় কিছু নেই বলে মনে করছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, আদালতে পরোয়ানা জারি হওয়ার পর সেটি থানায় পাঠানো হয়েছে। থানায় পাঠানোর কারণ একটা চাপ তৈরির চেষ্টা বলা যায়। কারণ এভাবেতো আর তাকে লন্ডন থেকে ফেরত আনা যাবে না। ফেরত আনতে হলে ব্রিটিশ সরকারের কাছে আগে তাদের এটা প্রমাণ করতে হবে মামলাটি রাজনৈতিকভাবে হয়নি। এ মামলাটি যে রাজনৈতিকভাবে চলছে এটা তারা জানে। কারণ এ মামলায় তিনি এর আগে খালাস পেয়েছেন। খালাস পাওয়ার পর পরবর্তীতে আদালত তাকে আবার শাস্তি দিয়েছে। কিন্তু আমরাতো আগে ভাগেই জানিয়ে রেখেছি তারেক রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশের সরকার কি করছে। তার বিরুদ্ধে যে একের পর এক রাজনৈতিক মামলা হচ্ছে ও আদেশ হচ্ছে সেটাও বলে রেখেছি।
লন্ডন থেকে তারেক রহমান বিষয়টি নিয়ে তার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তারেক রহমান বলেছেন, আইনি প্রক্রিয়ায় সরকার যত ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে নিক। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এগুলো বিশ্বাস করছে না। তাছাড়া হয়রানিমূলক মামলাতে আমি কোনো উদ্যোগ নিতে চাই না।
এদিকে সরকারের নীতিনির্ধারক একজন মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের নামে হয়রানিমূলক ও রাজনৈতিক কোনো কারণে মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে না। তিনি অপরাধ করেছেন। আইনের আওতায় তাকে আনা হয়েছে। আদালতের আদেশ তাকে মানতে হবে। সরকার হয়রানি করছে ও রাজনীতি করছে এগুলো বলে কোনো লাভ নেই।
উল্লেখ, সোমবার বিকালে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজার পরোয়ানা জারি করেন তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালত। আদালতের ডিসির (প্রসিকিউশন) মাধ্যমে পরোয়ানাটি ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় পাঠায়। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম