মুরাদনগরে ফেসবুকে কাবাঘরের বিকৃত ছবি যুবক গ্রেফতার
এম. কে. আই জাবেদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা): ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফেসবুকে কাবাঘর বিকৃত করার ওই ছবিটি পুনরায় পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার টনকী ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের পলাশ চন্দ্র দাস (১৯) নামের এক যুবক গ্রেফতারপূর্বক মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের চিত্ত রঞ্জন দাসের ছেলে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আলীনগর গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে যে ছবিটি নিয়ে হিন্দুপল্লীতে বাড়ি-ঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটে ঠিক সেই ছবিটিই পলাশ চন্দ্র দাস সোমবার তার ফেসবুকে পোস্ট দেয়। কাবাঘরকে বিকৃত করে শিবমূর্তির ছবি প্রতিস্থাপন করার ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে হোমনা থানা পুলিশের সহায়তায় বাতাকান্দির একটি গানের আসর থেকে রাতেই তাকে গ্রেফতার করে বাঙ্গরা থানায় নিয়ে আসে। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদকালে সে কাবাঘরের বিকৃত করা ছবিটি তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করে বলে স্বীকার করে।
এ ব্যাপারে এসআই আজিজুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত পলাশ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেছেন। ঘটনা শোনামাত্রই মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ও কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) আলী আশরাফ ভুইয়া সোমবার রাতেই আলীনগর গ্রামে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আশ্বাস ও পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য নির্দেশ দেন। এ সময় বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন, মুরাদনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি পার্থ সারথী দত্ত, ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন ও ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত পলাশ চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। সম্পাদনা: শারমিন আজাদ