আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়া বিমান বাহিনী বাল্টিক সাগর তীরবর্তী দেশগুলোতে ন্যাটোর প্রতিরক্ষা অঞ্চলের ভেতর অব্যাহত ভাবে ঢুঁ মারছে বলে দাবি করা হয়েছে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ছয়শ’ বারের বেশি এ জাতীয় ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দৈনিক ডেইলি মেইল।
এস্তোনিয়া, লাতভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটোর আকাশ সীমার পাহারায় নিযুক্ত পাইলটরা প্রায়ই জার্মান হয়ে থাকেন। লিথুয়ানিয়ায় ফরাসি বিমান বাহিনীর চারটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন রয়েছে। এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিনের পশ্চিমে আমারি ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে সাতটি জার্মান যুদ্ধবিমান।
জার্মান পাইলটদের কমান্ডার কর্নেল সোয়েন জ্যাকব বলেন, কখনো কখনো তাদের বিমান রুশ জঙ্গি বিমানের ১০ ফুটের মধ্যে চলে আসার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তিনি আরো দাবি করেন, রুশ বিমানগুলো পুরোপুরি অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত থাকে। ১০ ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র বহনের ক্ষমতা সম্পন্ন রুশ যুদ্ধবিমানে অন্তত ছয় ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র থাকে। সুখোই এসইউ-২৭ বিমান বিশেষ ভাবে হুমকি হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ খবরে আরো দাবি করা হয়েছে, রুশ বিমানগুলো ট্রান্সপোন্ডার ছাড়াই চলাচল করে। এতে আকাশে এ সব বিমানকে শনাক্ত করা কঠিন হয় এবং মধ্য আকাশে সংঘর্ষের আশংকা বাড়ছে বলেও দাবি করেন তিনি। খবর আরো দাবি করা হয়েছে, রুশ বিমান বাহিনী ক্রমেই মারমুখো হয়ে উঠছে এবং বাল্টিক আকাশের পরিস্থিতি খুবই মারাত্মক হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবরে আরো দাবি করা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই দেশটির বিমান বাহিনী এমন আচরণ করছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ