স্বেচ্ছাসেবক দলের দু-গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
কিরণ সেখ: জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ও রক্তারক্তির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়েছেন এবং ৫ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা চলাকালে মিলনায়তনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কেন্দ্রীয় নেতা এ প্রতিবেদককে জানান, শাহবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি বেলাল ও ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক নজরুলের গ্রুপের মধ্যে চেয়ারে বসা ও সেøাগান নিয়ে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ হামলায় বেলালও আহত হন। ওই হামলার সঙ্গে ঢাকা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সজল, বাবলু (১), বাবলু (২), সুমন, মিলন, শফিক ও লিটনসহ প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন বলে সূত্রটি জানান।
তবে এ ঘটনা সরকারের এজেন্ডারা ঘটিয়েছে বলে দাবি করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল বলেন, যারা মিলনায়তনের বাইরে আছেন তারা ভিতরে চলে আসুন। কারণ আমাদের অনুষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করতেই সরকারের এজেন্টরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আপনাদের অনুরোধ করছি, অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে সবাই যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনের ভিতর থেকে স্বেচ্ছাসেবক দলের একটি গ্রুপ আরেকটি গ্রুপকে চেয়ার তুলে নিয়ে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে দু-গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। চেয়ার ও লাঠির আঘাতে কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। এ হামলায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনের কাচ ও অনেক চেয়ার ভেঙে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিকে জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ ডেকে নিয়ে যান। কর্তৃপক্ষরা তাকে বলেছেন, এ ধরনের ঘটনা আবারও ঘটলে বিএনপিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে আর কোনো অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না।
এরপর আলোচনা সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু বলেন, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। সম্পাদনা: মাহমুদুল আলম