আশুলিয়ায় নারী কনস্টেবলের মৃত্যুর ঘটনায় সহকর্মী বহিষ্কার
আমিনুল ইসলাম, আশুলিয়া: আশুলিয়ায় নারী পুলিশ সদস্য আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দেওয়ার জন্য পুলিশ সদস্য জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা প্ররোচনার প্রমাণ পাওয়ায় জিয়াকে বহিষ্কার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়া থানায় মৃত নারী পুলিশ সদস্যের বড় ভাই নজরুল ইসলাম লিটন আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য জিয়াউর রহমান জিয়াকে দায়ী করে মামলাটি দায়ের করে। এর আগে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদীর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মৃত সাবিনার ভাই থানায় এসে জিয়াকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এছাড়া গতকাল জিয়াকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। সে প্রেেিত জিয়াকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সাবিনা এ বছরের শুরুতে আশুলিয়া থানায় কাজে যোগদান করে। এরপর থেকেই পুলিশ সদস্য জিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাবিনার। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সাবিনার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে জিয়া। কয়েকদিন আগে জিয়া বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক বিষয়টি জানতে পারে সাবিনা। তারপর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পরে সে। পরে গত বুধবার দুপুরে প্রেমে প্রতারিত হয়ে আশুলিয়া থানার ব্যারাকের পঞ্চমতলায় নিজ কে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। পরে সহকর্মীরা তাকে ডাকতে গিয়ে সাবিনার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় সাবিনার ক থেকে মৃত্যুর জন্য জিয়াকে দায়ী করে একটি চিরকুট পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ সদস্য জিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে তাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর আগে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সম্পাদনা: শারমিন আজাদ