শাহানুজ্জামান টিটু: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের তি হবে বেশি। বায়ু দূষণের ফলে আমাদের শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হবে। আসলে যারা এটা করছেন কেবল মতায় থাকা এবং মতাধরদের সন্তুষ্ট রাখার জন্যই করছেন। সুন্দরবন বাঁচাতে মাঠে নামার কোনো বিকল্প নেই। আমরা মাঠে নামবো।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সভায় তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি রাজনৈতিক উদ্দেশে করা হয় তাহলে এটাকে বন্ধ করতে হলে রাজনৈতিকভাবে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আজকে দেশ নিয়ে বাজি খেলা চলছে। কোনো ধরা বাঁধা নেই। যাকে খুশি ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
গয়েশ্বর বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের চেয়ারপারসন রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের ব্যাপারে অনেক কথা যুক্তি দিয়ে বলেছেন। পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানী, বিশিষ্ট নাগরিক সবাই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। তাই আমরা মনে করি এই প্রকল্প আমাদের জাতীয় জীবনে মারাত্মক হুমকি।
‘সুন্দরবন: সর্বনাশের আরেক নাম রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র’ শীর্ষক গোলটেবিলের আয়োজন করে বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক উইং।
গয়েশ্বর বলেন, ভারতের একটি পরিত্যক্ত কোম্পানি আমাদের দেশে তিকর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। এর ফলে, নদীর পানি, বাতাস, ফসল দূষিত হবে। জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। এই প্রকল্প বন্ধে দেশের মানুষকে রাজপথে নামার কোনো বিকল্প নেই।
গয়েশ্বর আরও বলেন, দেশপ্রেম আর আবেগ দিয়ে এসব বন্ধ করা যাবে না। মাঠে নামতে হবে। উন্নয়নের নামে মেগা মেগা প্রজেক্ট করা হচ্ছে দুর্নীতির জন্য। কোটি টাকার কাজ এক লাখ টাকায় দেওয়া হচ্ছে বিদেশি কোম্পানিকে। মূলত তাদের খুশি করতেই এসব করা হচ্ছে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আজকে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে ভারতীয় ব্যাংকের চড়া ঋণে। আবার বিদ্যুতের দামের অর্ধেক নেবে ভারত। বিষয়টা অবশ্যই রাজনৈতিক।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আজকে দশ বছর যদি আমরা মতার বাইরে থাকতে পারি, তবে আরও বিশ বছর মতার বাইরে থাকতে পারব কিন্তু জনগণের জন্য কিছু করতে চাই।
জাতীয় প্রেসকাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠতি সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেনÑ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের অধ্যাপক আজিজুর রহমান, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. আক্তার হোসেন খান, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন