আবদুল্লাহ তারেক: ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনায় ভারতের সম্পর্ক আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো থাকবে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের দ্বৈতনীতির কারণেই মূলত পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে না। তবে শুধু এইচ১-বি (অস্থায়ী দক্ষকর্মী নিয়োগ) নিয়েই হয়তো সমস্যা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ লিসা কার্টিস।
তিনি বলেন, এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য পূরণে ভারত একটি বিশাল ভূমিকা রাখবে বিশেষ করে উন্মুক্ত এবং অবাধ সমুদ্রসীমা ব্যবহারে। নির্বাচনি প্রচারণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারতের সঙ্গে অংশীদারিত্বের সম্পর্কোন্নয়নে অনেক ইতিবাচক কথা বলেছেন।
কার্টিসের মতে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প শক্ত অবস্থান নিবেন এতে স্বাভাবিকভাবেই ভারত উপকৃত হবে। কারণ, ইতোপূর্বে ভারত পাকিস্তানভিত্তিক কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ভারতের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। ফলে এ অঞ্চলে পাকিস্তানের জঙ্গিবাদ নিয়ে দ্বৈতনীতি বরদাশত করা হবে না।
তার মতে, শুধু এইচ-১বি ভিসা নিয়েই দুদেশের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা থেকে যাবে। এটা এখনো অস্পষ্ট যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব শ্রমশক্তি রক্ষার অঙ্গীকার বিশ্ব বাণিজ্যে কি প্রভাব ফেলে।