হাইওয়ে পুলিশ মৃত্যুর কারণ যেন না হয়
প্রণব সাহা
তিনজন পরিবহন নেতা মারা গেলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের হাইওয়েতে এই তিনজনের মৃত্যুটা তাদের পরিবারের জন্য কতটা অমানবিক বা কষ্টের সেই প্রশ্নটার জবাব দেওয়ার কোনো ভাষা নেই। কিন্তু এই হত্যার দায় কার? সেই জবাব তো খুঁজে বের করতে হবে। পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর আনিসুজ্জামান তার হাতের লাঠি ছুঁড়ে মারাই কি মূল কারণ? অবিলম্বেই এই ঘটনার জন্য নিশ্চয়ই তদন্ত কমিটি হবে। পরশু যে তিনজন মারা গেছেন তাদের মধ্যে আছেন ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জেলা ট্যাঙ লরি মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক আলী আজম হাজারী এবং দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান মিয়া। এই তিন মৃত্যু নিয়ে মানুষ ক্ষোভ-বিক্ষোভ করেছে। পুলিশের রেকারের চালককে পিটিয়েছে।
তিনজন মোটরসাইকেলে চড়েছেন, হাইওয়ে পুলিশ তাদের থামানোর সিগন্যাল দিয়েছে, তারা মানেনি। পুলিশ ধাওয়া করেছে, তারা থামেনি। এরপর পুলিশ হাতের লাঠি ছুড়ে মেরেছে। সেই লাঠি মোটরবাইকের চাকার ভিতরে ঢুকে গেছে, মোটরবাইক পড়ে গেছে, ট্রাক উঠে গেছে তিনজনের ওপর। মরে গেল তিনজনই।
পুলিশ বলছে, এটি শুধুই একটি সড়ক দুর্ঘটনা। কিন্তু তিনজন তো সাধারণ মানুষ নন। তারা পরিবহন নেতা। পুলিশের তাদের চেনার কথা। কিন্তু তারা থামল না, পুলিশ ধাওয়া দিল। আর মরে গেল, তিনজন পরিবহন নেতা। তারা যে এলাকায় পরিচিত এবং জনপ্রিয় সেটা কিন্তু বোঝা গেছে, যখন মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
আমরা পুলিশের বাড়াবাড়ি চাই না। চাই না, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হোক। কিন্তু ঢাকা-সিলেট সড়কে এর দুটিই হয়েছে বলে পত্রিকার খবর পড়ে মনে হলো। তাই এর একটি সুষ্ঠ তদন্ত হতে হবে। হাইওয়ে পুলিশের দক্ষতা বাড়ুক, সামনে যখন ঈদ, তখন তো মহাসড়কের যানজট প্রতিরোধে তাদেরই গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্বপালন করতে হবে। কিন্তু সেই মহাসড়কে এমন একটি ঘটনা ঘটল, যা থেকে মনে হতে পারে ঈদের আগেই কি মরিয়া হয়ে উঠেছে হাইওয়ে পুলিশ? বিষয়টির প্রতি সবার দৃষ্টি আর্কষণ করতে চাই। কারণ ঈদে বাড়ি ফেরার সময় স্বাচ্ছন্দ্য চান সবাই। ঈদের আনন্দ করতে গিয়ে মহাসড়কের কষ্ট জানের ওপর দিয়ে যেন না যায়।
লেখক : সম্পাদক, ডিবিসি নিউজ
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন