চিতাকে পেছনে ফেলে বুলেট ট্রেনের চেয়েও এগিয়ে রোনাল্ডো
ডেস্ক রিপোর্ট : ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ডস স্যান্টোস অ্যাভেইরোকে সারা পৃথিবী রোনাল্ডো নামেই চেনে। তিনবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলারই রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার ফলোয়ারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফুটবলারের স্কিল ও ইস্পাত কঠিন চেহারার জন্য বাকী সবারচেয়ে আলাদা এই সিআর সেভেন খ্যাত তারকা। পেলে ও ম্যারাডোনার মতেও এই মহুর্তে এই গ্রহের সেরা ফুটবলার তিনিই। পর্তুগালের এই অধিনায়কের মুল কিক, নাকলবল, ফ্রি-কিক, স্টেপওভার, বুলেট শট ও হেড রীতিমত আলোচনার বিষয়। ২০১১ সালে চেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় রোনাল্ডোকে নিয়ে বায়োক্যামিক্যাল পরীক্ষা করেছিলো।
পরীক্ষার পর যে রিপোর্ট আসে তাতে পরিষ্কার দেখা যায়- রোনাল্ডো মানুষ হয়েও কিছু অতিমানবিক ক্ষমতার অধিকারী। ‘দ্য বিস্ট’-এ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়- হেড করার জন্য রোনাল্ডোর লাফিয়ে ওঠা অন্য ফুটবলারদের লাফের মতো নয়। পেশাদার এনবিএ বাস্কেটবল তারকাদের চেয়েও বেশি লাফাতে পারেন তিনি।
তার লাফানোর সময় জি-ফোর্সের ফাইভ-জি ক্ষমতা তৈরী হয়। যা কোন চিতার উড়ন্ত লাফের চেয়েও অন্তত পাঁচগুন বেশি। ছয় ফুট এক ইঞ্চির এই তারকা দাঁড়ানো অবস্থায়ই এক ফুট পাঁচ ইঞ্চি লাফাতে পারেন। দুটি স্টেপ নিয়ে লাফালে তা দাঁড়ায় দুই ফুট ছয় ইঞ্চি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে চেলসির বিপক্ষে হেড দিয়ে একটি গোল করেছিলেন তিনি। সেসময় মাটি থেকে দু’ফুট আট ইঞ্চি লাফিয়েছিলেন তিনি। আট ফুট উচ্চতার গোল পোস্ট তাই মাঝে মাঝে তার কাছে মাথা নত করে। আর এসবই সম্ভব হয়েছে তার পেশিবহুল থাইয়ের জন্য।
ফুল ওয়েট ট্রেনিং সেশনে রোনাল্ডো যে ওজন তুলতে পারেন তা ১৬টি টয়োটা প্রিয়াস গাড়ির ওজনের সমান। যা প্রায় ২২ হাজার কেজির সমান। বাসায় টিভি দেখতে দেখতে তিন হাজার সিট-আপ মারা অভ্যাসে পরিনত করেছেন তিনি।