ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : কক্সবাজার কাস্টম অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মারাত্মক আবাসন সমস্যায় ভোগছেন। প্রায় ২ যুগের বেশি আগে নির্মিত ভবনে কোন ধরনের মানবিক বা পারিপার্শিক সুযোগ সুবিধা ছাড়াই অনেকটা বাধ্য হয়ে থাকতে হচ্ছে জেলার সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায়কারী এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের। আবাসন ভবনের অবস্থা এতই শোচনীয় যে কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে সেখানে থাকতে চায় না। ভবনের বেশিরভাগ ছাদের পলেস্থার খসে পড়েছে জানালা ভাঙ্গা, নেই ভাল গোসল বা পয়ঃনিস্কাসন সুবিধা। এতে অনেকের বাধ্য হয়ে অন্যত্র বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে। এতে একদিকে কর্মেেত্র সমস্যা হচ্ছে অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে ও তিগ্রস্ত হচ্ছে তারা। এদিকে খুব দ্রুত আবাসন ভবনসহ মূল অফিস সংস্কার করা হবে বলে জানালেন জেলা রাজস্ব কর্মকর্তা।
কক্সবাজার সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। তাই এসে প্রথমে অফিসের পাশে স্টাফ কোয়ার্টার বা আবাসন ভবনে উঠি পরে ভবনের অবস্থা দেখে বিপদের আশংকায় সেখান থেকে বেরিয়ে এখন অন্যত্র থাকি। আমি যতটুকু জেনেছি আবাসন ভবনটি প্রায় ২৫ বছর আগে নির্মিত। তাই সেখানে ছাদের বেশির ভাগ পলেস্থার খসে পড়েছে যখন তখন সে গুলো ভেঙ্গে পড়ে আর রুমের অবস্থা খুবই করুন। জানালাগুলোও ভাঙ্গা আর বাথরুমসহ অনেক রুমের অবস্থা খুবই করুন তাই আমি সেখান থেকে বের হয়ে অন্যত্র থাকি।
আলাপকালে ক্যাশিয়ার মো. ইব্রাহিম বলেন আমরা ঝুঁকি নিয়ে এখানে থাকি জানি না কখন কি হয়। মাঝে মাঝে খুব ভয় লাগে কখন মাথার উপর ছাদ ভেঙ্গে পড়ে সে চিন্তায়। যেহেতু এখানে চাকরি করি তাই এখানে থাকতেই হবে তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকা। মূলত ভবনটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। আমি যতটুকু জানি এই ভবন অনেক আগে গণপূর্ত অধিদপ্তর পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছিল। তবে দিন তারিখ বলতে পারবো না। আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই ভবন নতুন করে গড়ে তোলা খুবই জরুরি।
এ ব্যাপারে সিপাহী অসিম চৌধুরী বলেন, ভবনের প্রতিটি দেয়াল থেকে পানি চপসে। বৃষ্টিতে রুম স্যাতস্যাতে হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের ও অনেক সময় অসুস্থ হতে হয়েছে। এখন যদি বাইরে থাকতে যাই তাহলে অনেক টাকা বাড়ি ভাড়া দিতে হবে। তাছাড়া অফিসের কাছে কোন ভাড়া নেওয়ার মত বাড়ি নেই। তাই দূরত্ব আর টাকার কথা বিবেচনা করে বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। আমরা অনেকটা মানবেতর অবস্থা বললে খারাপ হবে না। ভবনের বেশির ভাড় রুমে দিনের বেলায় বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কারণ ঘর অন্ধকার হয়ে যায় মোট কথা আমরা খুবই ঝুুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছি। সম্পাদনা : তারেক