কাশ্মীরে হামলা, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ইফতারের নিমন্ত্রণ থেকে প্রত্যাহার
এম রবিউল্লাহ : কারও সঙ্গে শত্রুতা থাকলে তাকে বাড়ির অনুষ্ঠানে নেমন্তন্ন না করা বিচিত্র কিছু নয়। তবে নেমন্তন্ন করেও তা ফিরিয়ে নেওয়ার নজির তেমনটা নেই। জম্মু কাশ্মীরের পামপোরে সিআরপি জওয়ানদের কনভয়ে হামলার জেরে নজিরবিহীন এই পদক্ষেপই করল আরএসএস। এবিপি নিউজ
সংঘের শাখা মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ ২ জুলাই ইফতারের আয়োজন করেছে। তাতে যোগ দিতে ৪০টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করেছে তারা। নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবদুল বাসিতও। তবে শনিবারের পামপোর হামলায় ৮ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুর পর কঠোর হয়েছে আরএসএস। ওদিনই বশিরকে ফোন করে তার নিমন্ত্রণ প্রত্যাহার করেছে তারা।
শনিবার পামপোরে সিআরপি জওয়ানদের কনভয়ে লস্কর-ই তৈয়বা হামলায় ৮ জওয়ানের মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েকজন জওয়ান। সেদিন দিল্লির পাকিস্তান হাইকমিশনে ইফতার পার্টি চলছিল। সেখানে পাকিস্তানের হাইকমিশনার আবদুল বাসিতকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে জম্মু-কাশ্মীর বিতর্কিত ইস্যু বলে তিনি স্রেফ উড়িয়ে দেন।
ওই সময় সাংবাদিকদের ইফতারে মন দিতে পরামর্শ দেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই তার আচরণ সাধারণ মানুষ ইতিবাচকভাবে দেখেননি। তারপরেই আরএসএস এই আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করল।
মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ এর আগেও ইফতারের আয়োজন করেছে। তবে এবার তা হচ্ছে বৃহৎ পরিসরে। সদস্যদের দেশজুড়ে ছোট ছোট ইফতার পার্টি করতে বলা হয়েছে, তাতে নিমন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে সব সম্প্রদায়ের মানুষকে। দেশকে সহিংসতামুক্ত করার পাশাপাশি পুরো বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদ ও হিংসার ছায়ামুক্ত করার জন্য সংখ্যালঘু সমাজের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছে তারা। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ