সুন্দরবনে পর্যটকবাহী লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে যাত্রীরা নিরাপদ
সাইফুল ইসলাম করিব, বাগেরহাট: পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে পর্যটকবাহী এমভি ফেলিকেন-১ নামের একটি লঞ্চের অগ্নিকা- নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন বিভাগের হাড়বাড়িয়া
টহল ফাঁড়ির সামনে পশুর নদীতে লঞ্চটিতে আগুন লাগে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঘটনাস্থলে থাকা হাড়বাড়িয়া টহল ফাঁড়ির কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম জানান, ‘পুরো লঞ্চটি দাউ দাউ করে জ্বলছিল। লঞ্চের পর্যটক ও স্টাফরা হাড়বাড়িয়া ফরেস্ট কার্যালয়ে নিরাপদে রয়েছেন। রাত ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে রওনা দেন মংলাবন্দর কর্তৃপক্ষ, বন বিভাগ, কোস্টগার্ড এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। তারাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। লঞ্চটিতে ২৬ জন পর্যটকসহ ৩৬ জন লোক ছিল।
বন বিভাগ জানায়, ঢাকার উইনস্টার ট্যুরিজম কোম্পানির মালিকানাধীন এমভি ফেলিকেন-১ গতকাল ভোরে ২৬ জন পর্যটক নিয়ে খুলনা থেকে মংলাবন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এরপর সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য বন বিভাগের ঢাংমারী স্টেশন থেকে অনুমোদন পাস নিয়ে সকাল ৯টার দিকে পশুর নদী হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। এ দিন সন্ধ্যায় লঞ্চটি পশুর নদীর হাড়বাড়িয়ায় বন বিভাগের টহল ফাঁড়ির অদূরে নোঙর করে। এ সময় হঠাৎ করেই লঞ্চটির পেছনের অংশে আগুন জ্বলতে দেখে পর্যটকরা চিৎকার শুরু করেন।
মুহূর্তেই আগুন লঞ্চটির সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর আগেই পর্যটক ও কর্মকর্তাদের উদ্ধার অভিযান শুরু করে বন বিভাগ।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাহাতুজ্জামান জানান, অগ্নিকা-ের খবর পাওয়ার পর কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজে শুরু করে।
বন বিভাগের ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান জানান, শুক্রবার সকালে ফেলিকন-১ নামের লঞ্চটি ২৬ জন দেশি পর্যটকের পাস নিয়ে বনের গহিন অংশে প্রবেশ করে। পর্যটকবাহী এ লঞ্চটিকে শুধু ২৪ ঘণ্টা বনের ভেতর অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সম্পাদনা: আলাউদ্দিন