ছুটির দিনে জমে উঠেছে ১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী
এস. ইসলাম জয়: বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সহস্রাব্দপ্রাচীন। আবহমান বাংলাদেশের এ সংস্কৃতি পৃথিবীব্যাপী। এ সংস্কৃতিকে আরও বেগবান এবং পৃথিবীর অন্যান্য সংস্কৃতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ১৭তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী।
গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে এ প্রদর্শনীতে ছিল চোখে পড়ার মতো দর্শক সমাগম। ব্যস্ত নগর জীবনে কিছুটা বিনোদন উপভোগ করতে এসেছেন অনেকেই। এরমধ্যে বাবা মায়ের সাথে এসেছে শিশু-কিশোরসহ পরিবারের অনেক সদস্য। প্রতিটি গ্যালারীতে রয়েছে বিভিন্ন বিভিন্ন প্রদর্শনী। মাসব্যপী এ আয়োজনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৫টি দেশ অংশ গ্রহণ করছে। প্রদর্শিত হচ্ছে ‘ম্যান, দ্যা সø্যাভ অব টাইম-২’, ‘ইনসাইড অব ফেমিনিনিটি ফ্রিডম-১’, ‘কাউনট্যাবল’, ‘লস্ট ভয়েজ-হারানো সুর’, ‘ইন্টারনাল মোমেন্ট: অ্যা কনটেমপোরারি লাইফ’, ‘স্টেন্স অব টাইম’, ‘ফিনোমেনা’ ‘ব্লাড টেস্ট’, ‘ডিজাসট্রোয়াস ম্যানকাইন্ড’, ‘অ্যাকজিস্ট্যান্স অব আইডেনটিটি-৫’, ‘…এন্ড দ্য ফেমিনিন…২’, ‘অ্যাজদি হাতো নারী’ ইত্যাদি। ইফাত রেজোয়ানা রিয়ার ‘স্টেন্স অব টাইম’-এর উপজীব্যে উঠেছে এসেছে ‘তরঙ্গের ঢেউর মতো মানুষের জীবনে হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ জড়িয়ে থাকে। ভালো সময় পেরিয়ে এসে আমরা ভবিষ্যতে অতীত ভুলে যাই। কিন্তু মানবের ভুলে গেলে চলে না। কারণ ওগুলো প্রতিনিয়ত আমরা বয়ে বেড়াই। প্রত্যেকেরই জীবনে তার গন্তব্যের জন্য অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সিঁড়িগুলো পছন্দ করে নিতে হয়।
এ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ১৪৮ জন শিল্পীর ১৫৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। অন্যদিকে প্রদর্শনীতে স্থান পাচ্ছে ৫৩টি দেশের ১৫০ জন শিল্পীর ২৬০টি শিল্পকর্ম। অংশগ্রহণকারী দেশগুলো থেকে শিল্পী, শিল্প সমালোচক, মিউজিয়াম কিউরেটরসহ মোট ১৪৫ জন এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। এবারের আসরে এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও অন্যান্য দেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের মধ্যে থেকে চীনের ওয়াং চুনচেন, ফ্রান্সের মায়েলো ডাউন্ট, ইন্দোনেশিয়ার দোলোরোসা সিংহা, জাপানের ইয়োকো হাসেগাওয়া, পোল্যান্ডের জাইমুন্ট রাফাল স্ট্রিরেন্ট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ইউন জিনসুপ-এর মতো চারুশিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন। প্রদর্শনীকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের কদম ফোয়ারা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং ঢাকা শহরের বিভিন্নস্থান আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়েছে।
প্রদর্শনী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনো এন্ট্রি ফি ছাড়াই দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সম্পাদনা: আলাউদ্দিন