আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের ওপর থেকে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে যেন জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার বৈধতা দিল বারাক ওবামার সরকার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের শুক্রবারের এক খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা আংশিক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যখন রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ সংঘটিত হচ্ছে বলে দুই দফায় জানিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘ। সেখানে জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়া (এথনিক ক্লিনজিং) চলছে বলেও অভিযোগ তুলেছে জাতিসংঘ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ স্যাটেলাইট ইমেজে দেখিয়েছে, কীভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গা বসতি। তা সত্ত্বেও মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি দেখছেন ওবামা। বলেছেন, মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর অগ্রগতি অর্জন করেছে মিয়ানমার। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস গত ২ ডিসেম্বর শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে জানায় ( ৫ ডিসেম্বর সংশোধিত) মিয়ানমারের ওপর থেকে বাণিজ্যিক অবরোধ তুল নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার বারাক ওবামা এ সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করতে গিয়েই রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নিশ্চুপ ছিলেন ওবামা। উল্টো মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। এ বছর অক্টোবর মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এলাকায় সন্ত্রাসীদের সমন্বিত হামলায় ৯ পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর তার দায় চাপানো হয় রোহিঙ্গাদের ওপর। আর তখন থেকেই শুরু হয় সেনাবাহিনীর দমন প্রক্রিয়া। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের দাবি, এরপর থেকেই রাখাইন রাজ্যে ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইসলামি চরমপন্থা দমনে কাজ করছেন বলে দাবি করছেন তারা। আর তা এমন কঠোর প্রক্রিয়ায় চালানো হচ্ছে যে সেখানে সংবাদমাধ্যমকেও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের অজুহাতেই তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ