এস এম নূর মোহাম্মদ: মৃত্যুদ- অথবা যাবজ্জীবন সাজার অপরাধের বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করায় এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ জাকির হোসেনকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলার দুই আসামির এক আবেদনের শুনানিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৯ মার্চ ১৭৮ বোতল ফেনসিডিল বহনের দায়ে মোহম্মদ আনিসুর রহমান ও মোহম্মদ বাবুল ইসলামকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই বছর করে কারাদ- দেওয়া হয়। আদালত পরিচালনা করেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইউএনও মোহম্মদ জাকির হোসেন। পরে ওই সাজার আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আপিল করেন। তবে ওই বছরের ১৬ মে আপিল খারিজ করা হয়।
এরপর সাজা বহালের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা পাবনার বিশেষ জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন। চলতি বছরের ১৯ জুলাই বিশেষ জজ আদালত রিভিশন আবেদনটিও খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে আসামিরা হাইকোর্টে সাজা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। গতকাল ওই আবেদনের শুনানিকালে হাইকোর্ট মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন পর্যালোচনা করেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৭৮ বোতল ফেনসিডিল বহনের জন্য আইনে যাবজ্জীবন সাজার কথা উল্লেখ রয়েছে। আইন অনুযায়ী এটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচার্য বিষয় নয়। কারণ মোবাইল কোর্ট আইন অনুযায়ী তারা সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজার অপরাধ বিচার করতে পারেন। পরে আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেন। এছাড়া এ মামলায় আগামী ২৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। সম্পাদনা: আজাদ হোসেন সুমন