রিকু আমির : বাংলা একাডেমির অনুমতি ছাড়া একটি বইও অমর একুশে বইমেলার কোনো স্টলে স্থান পাবে না। একইসঙ্গে যেসব বই বাংলা একাডেমি অনুমতি দেবার পর স্টলে নেয়া যাবে, সেসব বইয়ের কমপক্ষে একটি কপি বাংলা একাডেমির কাছে সংরক্ষিত রাখা হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এই কৌশল গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে একটি প্রস্তাবনা বাংলা একাডেমিকে দিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। শাহবাগ থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিক বুধবার দুপুরে দৈনিক আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, এই সুপারিশ করার কারণ একটাই, যেন এমন কোনো প্রকাশনা স্টলে না উঠে, যাকে কেন্দ্র করে কোনো অশান্তি বা গোলোযোগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়। যেমনটি হয়েছিল গত বছর। এর পাশাপাশি যেসব প্রকাশনীর বই নিয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে পরিবেশ-পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠেছিল, সেসব প্রকাশনীকেও মেলা থেকে একদম দূরে রাখা হবে। তারা যেন স্টল করার অনুমতি না পান, সেজন্য বাংলা একাডেমির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলা একাডেমি পুলিশের সঙ্গে একমত পোষণ করে এরই মধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।
গত বছর বইমেলায় পুলিশ যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়েছিল, সেসবের মান ছিল নি¤œমানের। এবার আরও উন্নত মানের ও সংখ্যায় বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর চিন্তাভাবনা শুরু করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি আবুবকর সিদ্দিক জানান, খাবারের মূল্য পর্যটন করপোরেশন মানের রাখলে হবে না। এমন দামে খাবার বিক্রি করতে হবে, যাতে মেলায় আগত সব শ্রেণির মানুষ তা ক্রয় করতে পারেন।
বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, গত বছর ইসলাম বিতর্ক নামের একটি বই নিষিদ্ধ করা হয়। ওনারা এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। গত ২২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একাডেমির কাউন্সিলে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবং তাদের তৎপরতাকে বইমেলার স্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনা করে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রবিন আহসান ফেইসবুকেও পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, মামলা হবে বাংলা একাডেমির বিরুদ্ধে। মামলা করবো আমি। সম্পাদনা: এনামুল হক