জাফর আহমদ: ইসলামী ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করেছেন আব্দুল হামিদ। পুরাতন কর্মস্থল ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে সরাসরি সোমবার সকাল ১১টায় ইসলামী ব্যাংকে আসেন তিনি। এরপর থেকে নতুন পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থপনা পর্ষদের শুভাকাক্সিক্ষদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের দিলকুশার প্রধান কার্যালয়। একই সাথে ব্যাংকটির পুরাতন কর্মীদের নিজেদের মধ্যে শলা-পরামর্শ করতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, রোববারই ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকটির এমডি হিসেবে ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি আব্দুল হামিদের অনুমোদন সংগ্রহ করে। এরপর গতকাল সকালে ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে বিদায় নিয়ে ইসলামী ব্যাংকে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তার সাবেক কর্মস্থলের একজন ‘পিএস’। এ সময় ইসলামী ব্যাংকের এমডির অফিস স্টাফ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নতুন এমডিকে স্বাগত জানান। তবে এতদিন ধরে ব্যাংকটিতে কর্মরত ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাজ দেখা গেছে। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের কোন ফ্লোরে ভিন্ন ভিন্ন গ্রুপ, কোন ফ্লোরে পাশের সহকর্মীর সাথে গল্প করছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সবার মধ্যেই বিমর্ষতার ছাপ। কেমন আছেন-জিজ্ঞেস করতেই একজন বললেন, কপালের ভাজ দেখেই বুঝতে পারছেন কেমন আছি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রটি জানায়, কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রধান নির্বাহী নিয়োগের ব্যাপারে অনুমোদন চাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে এমডি হিসেবে অযোগ্যতার কোনো অভিযোগ না থাকলে তাকে প্রধান হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়। ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, চেয়ারম্যান বা এমডি নিয়োগের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত কিন্তু ব্যাংক কোম্পানি আইনের বাইরে এমন কোনো বিষয় সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক দৃষ্টিতে আনে না। তবে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট এ ধরনের কোনো অভিযোগ থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা তদন্ত করে। প্রয়োজনে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। ইসলামী ব্যাংকে আগে থেকেই পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে বলেও সূত্রটি উল্লেখ করে।
গত রোববার বিকালে ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান আরস্তু খান সংবাদ সম্মেলনে নতুন এমডি নিয়োগের ব্যাপারে কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে বলা হয় ইসলামী ব্যাংক একটি রাজনৈতিক দলের আখড়াতে পরিণত হয়েছিল। এর ফলে এ ব্যাংকের এ ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়েছিল। এখন থেকে নতুন কর্মী নিয়োগে হিন্দু, মহিলা সর্বোপরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
ব্যাংকের সাথে যুক্ত থাকা একটি বিশেষ দলের অনুসারী ব্যাংক কর্মীদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে অনুষ্ঠানে বলা হয়, এখন ব্যাংকের কারও চাকরি যাবে না। তবে গাড়িতে বোমা মারা হলে এবং পুলিশের হাতে ধরা পড়লে ‘লাভ’ লেটার ধরিয়ে বরখাস্ত করা হবে। সম্পাদনা: শারমিন আজাদ