বিএসএফের ভেতরে দুর্নীতি বিদ্রোহের আশঙ্কা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদব তাদের নিম্নমানের খাবারের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে আগেই তীব্র বিতর্কের ঝড় তুলেছেন। এবার বিএসএফ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ করলেন আরেক জওয়ান ও সীমান্তের মানুষজন। টাইমস অব ইন্ডিয়া
তাদের অভিযোগ, সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তারা জ্বালানি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা জিনিস অর্ধেক দামে বাইরে বিক্রি করে দেন। সৈনিকদের জন্য বরাদ্দ জিনিসপত্রের থেকে বঞ্চিত করেন জওয়ানদের। জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে হুমহামা বিএসএফ হেড কোয়ার্টার্সের পার্শ্ববর্তী দোকান মালিকরা ও স্থানীয় লোকজন জওয়ানদের থেকে এ সুবিধে পেয়ে থাকেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জওয়ানের দাবি, ‘অফিসাররা ডাল, সব্জিসহ বিভিন্ন খাবার জিনিস ক্যাম্পের বাইরে সাধারণ মানুষের কাছে সস্তায় বিক্রি করে দেন। আর আমাদের জন্য বরাদ্দ সুযোগ-সুবিধা থেকে আমাদেরই বঞ্চিত করেন। এমনকী আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও আমাদের না দিয়ে ক্যাম্পের বাইরে তাদের দালালদের বিক্রি করে দেন কর্মকর্তারা।’ স্থানীয় এক ব্যক্তিও জানিয়েছেন, ‘হুমহামা ক্যাম্পের কর্তব্যরত বিএসএফ কর্মকর্তাদের থেকে বাজারের অর্ধেক দামে আমরা পেট্রল পাই। চাল-মশলার মতো অন্যান্য জিনিসপত্রও পাই অনেক সস্তায়।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আসবাবপত্র্র তৈরির ডিলারের
দাবি, ‘অফিসের জন্য বিলাসবহুল আসবাব তৈরির অর্ডারে কর্মকর্তারা যা কমিশন নেন, তা আমাদের লাভের অংশের থেকে বেশি। বিএসএফে কোনো ই-টেন্ডারিং নেই। কর্মকর্তারাই কমিশন খেয়ে আসবাব তৈরি করান। জিনিসের মান কেমন সেদিকে ভ্রূক্ষেপ থাকে না।’ সিআরপিএফ-এর ক্ষেত্রেও দেখা যায় সেই একই ছবি। সিআরপিএফ-এর আইজি রবিদ্বীপ সিং শাহী এই অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়ে বলেন, ‘বাহিনীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জওয়ানরা। কাজেই কর্তব্যরত অবস্থায় তাদের জীবনযাপনের মান নিয়ে কোনোরকম সমঝোতা করা হবে না।’ সব মিলিয়ে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে সাধারণ সৈনিকরা। যেকোনো সময় বিদ্রোহ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ