রমনা বটমূলের সৌন্দর্যবর্ধনে কেটে ফেলা হয়েছে ছোট-বড় ৮টি গাছ
এস.ইসলাম জয়: প্রায় ৫০০ বছরের ঐতিহ্যের ধারক রাজধানীর রমনা পার্ক। এ পার্কটি সকল শ্রেণির মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। ঢাকার ব্যস্ত মানুষের চিত্তবিনোদনের অন্যতম স্থান রমনা পার্ক। প্রতিদিন সূর্যোদয়ের পূর্বেই শুরু হয় লোক সমাগম। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের পদচারণায় মুখরিত থাকে পার্কটি। ছোট-বড়, শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সীদের বিনোদনের জন্যও রাজধানীর এ পার্কটি গুরুত্বপূর্ণ। নির্মল হাওয়া আর সবুজের ছোঁয়া পেতে আশপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও এখানে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ। এক বারের জন্য হলেও প্রবেশ করে থাকে কৌতূহলী মানুষ জন। দেখে যায় ঐতিহ্যবাহী রমনা পার্কটি। পার্কটিকে কেন্দ্র করে প্রায় বছর জুড়ে কোনো না কোনো অনুষ্ঠান লেগে থাকে। এর মধ্যে ১ বৈশাখের অনুষ্ঠানটি সাধারণ মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়ে থাকে। পুরো রমনা পার্কের দর্শনার্থীদের দৃষ্টি যায় বটমূলের দিকে। অর্থাৎ বটগাছের নিচে যে অনুষ্ঠান সে দিকে। তাই বটগাছ ও বটমূল আলাদা গুরুত্ব বহন করে থাকে।
গতকাল দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এ বট গাছের সামনে থাকা ছোট-বড় ৮টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে শিরিষ, মেহগনি আর দু-একটি আগাছা। এ পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গণপূর্তের কর্মীদের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে আনসার সদস্যরা। গাছ কাটা সম্পর্কে পার্কের আনসারদের দায়িত্বে নিয়োজিত শামসুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যতদূর শুনেছি তা হলো বটগাছ দুটি অন্যান্য গাছের ডালপালায় ঢেকে গেছে। ফলে ওই গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছিল। গাছগুলোর ডাল ও পাতার জন্য বট গাছের নিচে খুব একটা আলো পড়ত না। এজন্য যে গাছগুলো সমস্যার সৃষ্টি করেছিল সেগুলো কেটে ফেলা হয়েছে। এখন ওই জায়গায় দেশি-বিদেশি উন্নতজাতের ফুল গাছ লাগানো হবে। একদিকে বটগাছগুলো মুক্ত হবে আর বটমূলের সৌন্দর্য বাড়বে। যাতে কোনো অনুষ্ঠান হলে সুন্দর করে সবাই উপভোগ করতে পারেন। মূলত বটগাছ বাঁচাতে ও পরিকল্পিতভাবে গাছ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রমনা পার্কের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ গাছ কাটা।