রেজাউল করিম, সিরাজগঞ্জ : দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) এ,এফ,এম আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ২০১৬ সাল ছিল দেশের দুর্নীতিবাজদের জন্য সতর্কতা। বার বার বলা হয়েছিল আপনারা দুর্র্নীতি থেকে ফিরে আসুন। কিন্তু যারা করেননি এবং দুর্নীতি চালিয়ে যাবেন তাদের জন্য ২০১৭ সাল থেকে দুদক হচ্ছে আতংকের বিষয়। কেউ যদি দুদকের জালে ধরা পড়ে যান তাহলে কারো উপায় নেই। তিনি আরো বলেন, অতীতে দুর্নীতিবাজদের শাস্তির হার ছিল ৩৭ শতাংশ। বর্তমানে তা মাত্র ৯ মাসেই বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। শতভাগ শাস্তি নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে দুদকের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কাজেই একবার যদি কারো বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যায় তাহলে তার নিস্তার নেই। আমরা কোন রুপ ভুল বিভ্রান্তি রেখে মামলা বিচারের জন্য সোপর্দ করব না। সুতরাং দুদক যার বিরুদ্ধেই মামলা করবে তার শাস্তি অনিবার্য। এ লক্ষে সরকার দুদককে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে যথাযথ সহায়তা করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের আয়োজনে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দীপ্ত চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের উদ্যোগে সততা সংঘের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল হাসানের সভাপতিত্বে দুদক পরিচালক আব্দুল আজিজ ভুঁইয়া, মো. মনিরুজ্জামান, উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক, দীপ্ত চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল মান্নান তালুকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সৈয়দ ইরতেজা আহসান। সম্পাদনা: তারেক